বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


আউশ ধানের বাম্পার ফলন - কৃষকের মুখে হাসির ঝলক

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৫, ০৭:৩৩ এএম

আউশ ধানের বাম্পার ফলন - কৃষকের মুখে হাসির ঝলক

ময়মনসিংহের নান্দাইলে আউশ ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। মাঠে মাঠে সোনালি পাকা আউশ ধানের চনমনে গন্ধে মাতোয়ারা কৃষক। মাঠে ধানের শীষে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। আউশ ধানের স্বপ্নে যেন বিভোর তারা। ভাদ্র মাসের বাতাসে দোল খাওয়া সোনালি আউশ ধানের ঘ্রাণে মাতোয়ারা কৃষক। গত বছরের তুলনায় চলতি আউশ মৌসুমে ফলন ভালো ও দাম বেশি হওয়ায় প্রতিটি কৃষক পরিবার খুশি। অসময়ে আউশ চাষে সাফল্য পেয়ে কৃষকের মনে বিরাজ করছে আনন্দের বন্যা।

নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় ১২৫০ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আউশের আবাদ হয়েছে ৮৫০ হেক্টর জমিতে। গড় ফলন হেক্টরে ২.৮২ মেট্রিক টন।

সরেজমিন দেখা যায়, আউশ ধান পাকতে শুরু করেছে। ধানের ভারে নুয়ে পড়েছে শীষগুলো। ঘাম ঝরানো স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে প্রস্তুত প্রতিটি কৃষক। প্রতিটি খেতে যেন ফুটে উঠেছে সোনালি রং। সোনালি রঙে রাঙিয়ে তুলেছে মাঠের পর মাঠ।  একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে বীরবেতাগৈর, শেরপুর, খারুয়া, নান্দাইল, গাংগাইল, মোয়াজ্জেমপুর, চন্ডিপাশা ও পৌরসভায় আউশ ধান আবাদ বেশি হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নেও বিক্ষিপ্তভাবে আবাদ হয়েছে।

অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকির কারণে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ধান উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।

বীরকামট খালী গ্রামের কৃষক মুনজুরুল হক, আলতাফ, সাভার গ্রামের মাসুম মিয়া, রাজাবাড়িয়া গ্রামের আমিনুল হকসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, এ বছর আউশ ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলন পেয়ে তারা খুব খুশি। তা ছাড়া বাজারে ধানের দামও বেশি।

সাভার গ্রামের মাসুম মিয়া বলেন, ‘এ বছর আমি ৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ধান কাটা শুরু করব।’

কৃষক মুনজুরুল হক বলেন, ‘আমি ৭০ শতক জমিতে আউশ ধান চাষ করেছি। অনেক ভালো ফলন হয়েছে। আউশ ধান কেটে রোপা আমন চাষ করব।’

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল হক জানান, ‘এ বছর ব্রি ধান ৪৮, ৮৫, ৯৮ জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে। ২৬টি প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ শত মেট্রিক টন।’

নান্দাইল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘এ বছর নান্দাইলে আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। আউশে সেচ, সার ও শ্রম কম খরচ হয়। তাই কৃষক আউশ ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় নান্দাইলের কৃষকগণ অনেক লাভবান হবেন।’
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!