বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম

দরপত্র বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত খুবই রহস্যজনক ও নজিরবিহীন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৫, ০৮:৪৭ এএম

দরপত্র বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত খুবই রহস্যজনক ও নজিরবিহীন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কয়লাভিত্তিক বৃহৎ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দীর্ঘ মেয়াদে কয়লা সরবরাহের জন্য চতুর্থ দফায় ডাকা দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর নির্ধারিত সময় পার হলেও বিশেষ ‘সিন্ডিকেটের’ বাধায় কয়লা আমদানির দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছে না আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড (আরএনপিএল) কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত একজন বিশেষ ব্যক্তির ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের’ বিশেষ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বারবার যোগ্য নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও কার্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে না সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি কোম্পানিকে।

সর্বশেষ গত মঙ্গলবার অনেকটা তড়িগড়ি করে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ওই প্রতিষ্ঠানকে দরপত্র বাতিল করে চিঠি দিয়েছে আরএনপিএল। যদিও এ ক্ষেত্রে আরএনপিএল পরিচালন পর্ষদের কোনো অনুমোদনই নেওয়া হয়নি। বোর্ড সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, বোর্ডে উপস্থাপন ও অনুমোদন ছাড়াই দরপত্র বাতিলের এমন সিদ্ধান্ত খুবই রহস্যজনক ও নজিরবিহীন।

দরপত্রে কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়নের বিভিন্ন ধাপে অনিয়ম ও ত্রুটি রয়েছে বলে জানিয়েছে এ-সংক্রান্ত গঠিত কমিটি। এর আগে তিন দফায় কেন্দ্রটির জন্য দীর্ঘমেয়াদি কয়লার দরপত্র ডেকেও কোনো কোম্পানি চূড়ান্ত করতে পারেনি যৌথভাবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল-নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড (আনএনপিএল)। চতুর্থ দফায় দরপত্র বাতিলের মধ্য দিয়ে বৃহৎ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন নিয়ে বড় অনিশ্চয়তা এবং সরকার লোকসানের মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, দরপত্র অনুযায়ী শর্ত পূরণ করে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ইয়াংথাই এনার্জি পিটিই লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি যোগ্য বিবেচিত হলেও স্থানীয় কোম্পানিগুলোর চাপে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর আগেও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে দফায় দফায় শর্ত শিথিল করা হয়েছিল। এর পরও সিন্ডিকেটের পছন্দের কোম্পানি না আসায় শর্ত শিথিলের কথা বলা হচ্ছে। যদিও সর্বশেষ মূল্যায়ন আর্থিক প্রতিবেদনে ইয়াংথাই এনার্জি প্রস্তাবিত দরকে সাশ্রয়ী বলে গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছিল। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নথিপত্রে উল্লেখ আছে, কয়লার মান ও অ্যাশ ফিউশন আরও কমানো হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিজাইন অনুযায়ী বয়লার তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার কিলোক্যালরি কম হলে তাতে জ¦ালানি ব্যয় বেশি হওয়ার বড় আশঙ্কা রয়েছে।

আরএনপিএল সূত্রে জানা গেছে, আরএনপিএলের ১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি রয়েছে। ১৪ বছর মেয়াদি এই ঋণচুক্তির মধ্যে চার বছর গ্রেস পিরিয়ড। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই ঋণচুক্তি হয়। চুক্তির শর্তে বলা হয়, প্রকল্প শেষ হওয়ার ছয় মাস পর থেকে ঋণ পরিশোধ শুরু হবে। চলতি বছরের এপ্রিলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এবং পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পূর্ণ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হলেও ২৫ শতাংশ প্লান্ট ফ্যাক্টরে চলছে। সূত্র জানায়, কেন্দ্রটি থেকে প্রতি মাসে সাড়ে ১০ মিলিয়ন ডলারের বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। ২৫ শতাংশ প্লান্ট ফ্যাক্টরে চলছে অন্তত সাড়ে ৭ মিলিয়ন ডলারের (জ¦ালানি খরচ বাদে) বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। এতে কেন্দ্রের আর্থিক ক্ষতি বাড়ছে।

অভিযোগ উঠেছে, চতুর্থ ধাপের দরপত্রের কার্যক্রম চলাকালীন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম ভূঁইয়া সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানিটির একজন কর্মকর্তাকে বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ খাতসংশ্লিষ্ট একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নম্বর পাঠিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। প্রভাবশালী ওই ব্যক্তি বিদ্যুৎ-জ¦ালানি খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র কমিটির সদস্য ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বোর্ডের সদস্য। পরে প্রভাবশালী ওই ব্যক্তি নিজেই দরদাতা সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাকে মেসেজ পাঠিয়ে আরএনপিএল ইস্যুতে তাদের সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে আসার কথা জানান। এ জন্য এক দিনের সময়ে বেঁধে দেয় ওই প্রভাবশালী। যদিও ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে’ না যাওয়ায় গত মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দিয়ে দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিলের কথা জানিয়ে দিয়েছে আরএনপিএল। 

যদিও চতুর্থ দফায় ডাকা দরপত্রের কারিগরি মূল্যায়নে ইয়াংথাই এনার্জিকে যোগ্য ঘোষণা করা হয়; বাকি তিনটি কোম্পানিকে অযোগ্য ঘোষণা করে আর্থিক প্রস্তাব ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ইয়াংথাই এনার্জির আর্থিক প্রস্তাবটি মূল্যায়নে তিনটি সভা করে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। আর্থিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে ইয়াংথাই এনার্জির প্রস্তাবিত কয়লার দর সাশ্রয়ী উল্লেখ করে তা গ্রহণ করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু ২৯ জুন অনুষ্ঠিত আরএনপিএলের বোর্ড সভায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম ভূঁইয়া প্রকিউরমেন্ট সত্তার প্রধানের (হোপ) পদাধিকার ক্ষমতাবলে প্রস্তাবটি পুনরায় মূল্যায়নের জন্য কারিগরি কমিটির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেন। অভিযোগ করা হয়, কমিশনিংয়ের কয়লার দামের চেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে কয়লা সরবরাহের প্রস্তাবিত দর বেশি। আরএনপিএলের বোর্ড সভায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের কয়লার দর তুলনা করা হয়। কমিশনিংয়ের কয়লার দরের (আইসিআই-৩ ইনডেক্স অনুসরণকৃত) চেয়ে চতুর্থ দফায় কয়লার প্রস্তাবিত দর (এইচবিএ ইনডেক্স অনুসরণকৃত) তুলনা করে প্রতি টন কয়লার মূল্যে ৮৪ সেন্ট বেশি পাওয়া গেছে বলে ব্যাখ্যা করা হয়।

যদিও দরপত্রের আর্থিক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে এইচবিএ ইনডেক্স অনুসরণের বিষয়টি নির্ধারণ করে বিপিডিবি, মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। আর্থিক মূল্যায়নের পরও এমডি সেলিম বিষয়টি আটকে রাখেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমডি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পক্ষ থেকে কয়লার দর নিয়ে সমঝোতার প্রস্তাব দেন। যদিও পিপিআর আইন অনুযায়ী, মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলাকালে সমঝোতার সুযোগ নেই।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ক্যাবের জ¦ালানিবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ক্যাপাসিটি চার্জের নামে এমনিতেই বছরের পর বছর আমাদের একটা বড় অঙ্কের অর্থ খরচ হয়ে যাচ্ছে। পটুয়াখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সক্ষমতার দিকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে। শুধু কয়লার অভাবে উৎপাদন করতে না পারাটা মানা যাচ্ছে না। অন্তবর্তী সরকার এখন অনেক কাজ করছে। আশা করছি এই কেন্দ্র নিয়েও কাজ করবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারীর সই করা ওই চিঠি আরএনপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নাজমুস সায়াদাত বরাবর পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রেজাউল করিমকে।

আরএনপিএলের দরপত্র বারবার কেন বাতিল হচ্ছে? এ ছাড়া কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদন বারবার পিছিয়ে যাওয়ার কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেÑ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বিষয়টি আমাদেরও নজরে এসেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ এটি নিয়ে কাজ করছে। আশা করছি খুব শিগগিরই এই কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। এ ক্ষেত্রে কয়লার দরপত্রের জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, বৃহৎ কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি কয়লার সরবরাহকারী নিশ্চিত করতে চায় আরএনপিএল কর্তৃপক্ষ। এ জন্য দফায় দফায় শর্ত শিথিল করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়ন সম্পন্ন হলেও ‘সিন্ডিকেটের’ কারণে বারবার আটকে দেওয়া যাচ্ছে। সর্বশেষ চতুর্থ দফার চূড়ান্ত পর্যায়ে দরপত্রে ত্রুটি ও অনিয়ম অভিযোগে তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটি দরপত্র বাতিল করে দ্রুত নতুন দরপত্র আহ্বানের সুপারিশ করে। ভবিষ্যতে কয়লা ক্রয়ে টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন, বিশেষ করে কয়লার ক্যালোরিফিক ভেল্যু (জিএআর), অ্যাশ ফিউশন টেম্পারেচার, কয়লার সাইজ দরপত্রে শর্তে এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যেন দরপত্র প্রক্রিয়ায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক সুপারশি করা হয়। আগামীতে কয়লা ক্রয়ের চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছরের পরিবর্তে দুই বছর করার সুপারিশ করে।

বিদ্যুৎ খাতের একাধিক সূত্রের অভিযোগ, আরএনপিএলের দরপত্র অনুযায়ী শর্ত পূরণ করে সিঙ্গাপুরভিত্তিক ইয়াংথাই এনার্জি পিটিই লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি যোগ্য বিবেচিত হলেও স্থানীয় কোম্পানিগুলোর চাপে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর আগেও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে দফায় দফায় শর্ত শিথিল করা হয়েছিল। এর পরও সিন্ডিকেটের পছন্দের কোম্পানি না আসায় শর্ত শিথিলের কথা বলা হচ্ছে। যদিও সর্বশেষ মূল্যায়ন আর্থিক প্রতিবেদনে ইয়াংথাই এনার্জি প্রস্তাবিত দরকে সাশ্রয়ী বলে গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছিল।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নথিপত্রে উল্লেখ আছে, কয়লার মান ও অ্যাশ ফিউশন আরও কমানো হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ডিজাইন অনুযায়ী বয়লার তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার কিলোক্যালরি কম হলে তাতে জ¦ালানি ব্যয় বেশি হওয়ার বড় আশঙ্কা রয়েছে।

দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় সাশ্রয়ীর জন্য এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বেশি ব্যবহার হচ্ছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ২ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছে যৌথভাবে আরএনপিএল। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র এরই মধ্যে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। দেশে লোডশেডিংয়ের মধ্যে পূর্ণ প্রস্তুত কেন্দ্রটি সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারছে না।

আরএনপিএল সূত্রে জানা গেছে, আরএনপিএলের ১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি রয়েছে। ১৫ বছর মেয়াদি এই ঋণচুক্তির মধ্যে চার বছর গ্রেস পিরিয়ড। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এই ঋণচুক্তি হয়। চুক্তির শর্তে বলা হয়, প্রকল্প শেষ হওয়ার ছয় মাস পর থেকে ঋণ পরিশোধ শুরু হবে।

চলতি বছরের এপ্রিলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এবং পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পূর্ণ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হলেও ২৫ শতাংশ প্ল্যান্ট ফ্যাক্টরে চলছে। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রটি থেকে প্রতি মাসে সাড়ে ১০ মিলিয়ন ডলারের বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!