চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের পানত্রিশা এলাকায় ডলুখালের ভাঙনে বসতভিটা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে খালের গর্ভে তলিয়ে গেছে ২০টি বসতবাড়ি। বিলীনের পথে রয়েছে আরও শতাধিক পরিবার। দিন দিন ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পানত্রিশা হাজিপাড়ার পাশ দিয়ে প্রবাহিত ডলুখালের দুই পাড়ে দীর্ঘ এক দশক ধরে ভাঙন চলছে। এতে ঘরবাড়ির পাশাপাশি একটি চলাচলের রাস্তা ভেঙে পড়ায় শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল বাহার রাজা বলেন, ‘ভাঙনের কবলে পড়ে এরই মধ্যে ২০টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। পাশে আরও শতাধিক পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। যেকোনো সময় এগুলো ভেঙে যেতে পারে।’
বৃদ্ধ নূর আহমেদ জানান, ‘ভাঙনের কারণে অনেকের খতিয়ানভুক্ত জমিও খালে মিশে গেছে। অবশিষ্ট শতাধিক পরিবার বসতভিটা হারানোর শঙ্কায় রয়েছে।’
বাদশা মিয়া বলেন, ‘ডলুখালের ভাঙনে আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। চলাচলের রাস্তাটিও ভাঙনের কবলে পড়ায় হেঁটে চলাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’
চুনতি বীর বিক্রম জয়নুল আবেদীন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শওকত ইসলাম বলেন, ‘যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমেই কমছে। ফলে বিশাল জনগোষ্ঠী পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনিস হায়দার বলেন, ‘শিগগিরই ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন