সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৬:২০ এএম

পাটের দামে খুশি নওগাঁর চাষিরা

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০৬:২০ এএম

পাটের দামে খুশি নওগাঁর চাষিরা

পাটের দামে খুশি নওগাঁর চাষিরা

*** সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমণে দাম কমেছে ২৫০-৩০০ টাকা

দেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল ‘সোনালি আঁশ’খ্যাত পাট এখন ওঠতে শুরু করেছে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। মৌসুমের শুরুতে সন্তোষজনক দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। তবে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে পাটের দাম কমেছে ২৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত, যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেক কৃষক।

গত মঙ্গলবার জেলার অন্যতম বৃহৎ মান্দা উপজেলা সতিহাটে সরজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা ভ্যান, সাইকেল ও ভটভটিসহ নানা পরিবহন যোগে পাট বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। সকাল ৮টার মধ্যেই শেষ হয় এ হাটের পাট বেঁচাকেনা। প্রকারভেদে প্রতিমণ পাট বিক্রি হয় ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় এদিন পাটের সরবরাহ বাড়ায় মণপ্রতি অন্তত ২৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দাম কমে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তারা বলছেন ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে দাম কমে গেছে।

জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জেলায় চলতি বছর ৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়ছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৬৮৫ টন। কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘাতে পাট চাষাবাদে হালচাষ, বীজ, সার, কীটনাশক, পানি সেচ, নিড়ানি, জাগ দেওয়া ও শ্রমিকসহ ঘরে উঠানো পর্যন্ত খরচ পড়ে প্রায় ১১ হাজার থেকে ১৪ হাজার টাকা। যেখানে বিঘা প্রতি ফলন হয় ৭-১০ মণ। গত বছর ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা মণ পাট বিক্রি হয়েছিল। পাট চাষাবাদে বাড়তি খরচ, শ্রমিক সংকট ও ঝামেলা হওয়ায় আবাদ কমিয়ে ভুট্টাসহ অন্য আবাদ ঝুঁকছে তারা।

উপজেলার বাঙ্গালপাড়া গ্রামের কৃষক হাসিবুল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে পাট বিক্রি করেছি ৩ হাজার ৭০০ টাকা মণ। আর এক সপ্তাহ পর বিক্রি করলাম ৩ হাজার ৬০০ টাকা। এভাবে পাটের দাম কমে গেলে কৃষকদের লোকসান গুনতে হবে।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. খলিলুর রহমান বলেন, পাট আমাদের প্রধান অর্থকরী ফসল। পানি স্বল্পতায় পাট জাগ দেওয়ার অসুবিধাসহ নানা কারণে আবাদ কমে যাচ্ছে। এ বছর ফলনও মোটামুটি ভালো হয়েছে এবং কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছে। বিশেষ করে পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে পাট জাত দ্রব্যের ব্যবহার বাড়ানো গেলে পাটের আবাদ বাড়বে। এতে করে পরিবেশ দূষণমুক্ত থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি কৃষকরাও লাভবান হবে। তবে পাটের ন্যায্য দাম ও আঁশ ছাড়ানো আধুনিক কৌশল এবং সুবিধা বাড়ানো গেলে আগামীতে চাষাবাদ বাড়বে এবং পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!