ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর এলাকায় একটি পাগলা ঘোড়ার কামড় ও লাথিতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে উপজেলা সদরের কলেজ রোড ও চৌরাস্তা এলাকায় ঘোড়াটি হঠাৎ তা-ব চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, দুই দিন ধরে পৌর সদরের বিভিন্ন স্থানে ঘোড়াটি পাগলের মতো আচরণ করছে। সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই তেড়ে গিয়ে কামড়াচ্ছে কিংবা লাথি মারছে। এতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই আহত হন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সাংবাদিক কাজী হাসান ফিরোজ বলেন, ‘সকালে হাঁটার জন্য রেলস্টেশনের দিকে যাচ্ছিলাম। চৌরাস্তা এলাকায় হঠাৎ একটি পাগলা ঘোড়া দৌড়ে এসে আমাকে কামড়ায়। লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখনো ব্যথা অনুভব করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী মো. নিজাম খান বলেন, পাগলা ঘোড়াটি কলেজ রোড থেকে শুরু করে চৌরাস্তা পর্যন্ত এলোমেলোভাবে দৌড়াচ্ছিল। যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড়ে কিংবা লাথি মেরে আহত করছে। গত দুই দিনে নারীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, ঘোড়াটি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তারা বলছেন, সম্ভবত কোনো পাগলা কুকুর ঘোড়াটিকে কামড় দেওয়ার পর এমন আচরণ করছে।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান বলেন, ঘোড়ার কামড়ে আহত হয়ে কয়েকজন আজ হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও টিটেনাস দেওয়া হয়েছে। এমন আচরণ দেখে ধারণা করা যাচ্ছে, ঘোড়াটি জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শওকত আলী বলেন, ঘোড়াটি গুনবাহা গ্রামে স্থানীয়রা আটক করেছে বলে জানতে পেরেছি। অফিস থেকে লোক পাঠানো হয়েছে। ঘোড়াটি জলাতঙ্কে আক্রান্ত হলে ৩-৪ দিনের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
