*** সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বারের বিরুদ্ধে ভিডিও-অডিও ভাইরাল
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নে টাকা ছাড়া মিলছে না মাতৃত্বকালীন ভাতা এমন অভিযোগ উঠেছে সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বারের বিরুদ্ধে। মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য কাগজপত্র ঠিক থাকলেও দিতে হয় সর্বনি¤œ ৫-৬ হাজার টাকা। বিঝারী ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য মুন্নী বেগমের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মুন্নী বেগম ভুক্তভোগী এক নারীর কাছ থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য স্বামী-স্ত্রীর আইডি কার্ডের ফটোকপি, আলট্রাসনোগ্রাফির কপি, টিকার কার্ড, মোবাইল নাম্বার এবং নগদ ৫-৬ হাজার টাকা দাবি করে বলেন- ৪০ হাজার টাকা পাবে ৫ হাজার টাকা খরচ করতে সমস্যা কি?
ভুক্তভোগী তালহা জুবায়ের রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মুন্নী বেগমকে দিলে তখন সে টাকার কথা বলেন। তিনি বলেন, টাকা লাগবে সর্বনি¤œ ৫-৬ হাজার টাকা। এই টাকা আমি একা খাই না, সবাই ভাগাভাগি করে নেই। সচিবের মাধ্যমে কাজ করাই তাকে টাকা দেওয়া লাগে। টাকা ছাড়া কাজ হয় না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য মুন্নী মেম্বার আমাদের কাছ থেকে কাগজপত্র এবং টাকা নিয়ে তার কাছে জমা রাখে। কাজ না হলে টাকা ফেরত দেবে বলে জানান।
এ বিষয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার মুন্নী বেগম বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা নেই না। আগে কেউ খুশি হয়ে কিছু দিত, এখন তাও নেই না।
বিঝারী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মলিনা নাসরিন জানান, এ অভিযোগের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। যদি মেম্বার আমার সম্পৃক্ততার কথা বলে থাকেন, তাহলে প্রমাণ করতে বলুন।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফাতিমা নাহিয়ান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, মাতৃত্বকালীন ভাতা করতে কোনো টাকা নেওয়া হয় না। আমাদের অফিসের কেউ এ ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নয়। কেউ যদি এ ধরনের কাজ করে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।