ছাত্রদের রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভে নেপাল সরকারের পতন ঘটেছে। দেশটিতে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নেপালের কাঠমান্ডুর ক্রাউন ইম্পেরিয়াল হোটেলে কঠিন সময় কাটাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন জামাল, তপুরা। বাফুফে গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হোটেলে জিম সেশন করেছেন ফুটবলাররা। তারা নিরাপদেই আছেন। দেশে ফেরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান কাঠমান্ডু থেকে জানান, ‘এখনো এয়ারপোর্ট বন্ধ রয়েছে। দূতাবাস আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। ক্রীড়া উপদেষ্টাও ফোন করেছিলেন। দ্রুত সময়ে আমাদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে সরকার থেকে।
বাফুফে সভাপতিও এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।’ সরকারপতনের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নেপালের বিমানবন্দরও। ফলে ইমিগ্রেশনসহ অন্যান্য ব্যবস্থা এলেমেলো। এটা নিয়ে বেশি শঙ্কিত বাংলাদেশ ম্যানেজার। আমের খান বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার থেকে বিশেষ বিমানে আমাদের নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। এখানে ইমিগ্রেশন ও প্রয়োজনীয় অনুমতির ব্যবস্থা না থাকলে তো আসলে বিশেষ বিমানেও যাওয়া সম্ভব হবে না। শুনেছি, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এয়ারপোর্ট বন্ধ। এরপর নেপাল হয়তো সময় বাড়াবে বা অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’ সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও বাফুফে নির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন বাংলাদেশ দলের খেলা দেখতে কাঠমান্ডু আছেন। গতকাল সেখান থেকে তিনি জানান, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) পরিস্থিতি খুবই ভয়ানক ছিল। সব রাস্তায় কমবেশি আন্দোলন, জ¦ালাও-পোড়াও হয়েছে। আজ সকাল থেকে পরিবেশ শান্ত ও থমথমে। অফিস, আদালত ও দোকান-পাট সব বন্ধ। রাস্তায় মানুষ চলাচল একেবারেই নেই। সেনাবাহিনী কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারিতে রাখছে।’