ঢাকা শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সামান্য বৃষ্টিতেই  বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটুপানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ০১:৫১ এএম

*** ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান ও বন্ধ রয়েছে শিক্ষর্থীদের খেলাধুলা
*** বর্ষার শুরু থেকে অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত দুটি বিদ্যালয় মাঠে পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা 

ময়মনসিংহের গফরগাঁও খারুয়া বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটুপানি জমে যায়। এতে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত ও খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে মাঠে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে বা সমাবেশে অংশ নিতে পারে না। ভারি বর্ষণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দা পর্যন্ত তলিয়ে যায়, এমনকি শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পাঠদান বিঘিœত হয়। রাওনা ইউনিয়নের পাঁচুয়া ভাষাশহীদ আব্দুল জব্বারনগর সড়কের পাশে একই মাঠে বিদ্যালয় দুটি অবস্থিত।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের পাঁচুয়া ভাষা শহিদ আব্দুল জব্বারনগর সড়কের দক্ষিণ পাশে খারুয়া বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয় ও পশ্চিম পাশে ৪৮ নম্বর খারুয়া বড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় দুটিতে রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। মাঠের উত্তর-পশ্চিম দিকে শহিদ জব্বার পাকা সড়ক ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে জনবসতি থাকায় মাঠের পানি নিষ্কাশনের কোনো পথ নেই। ফলে বর্ষার শুরু থেকে অক্টোবর-নভেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের মাঠে জমে থাকে বৃষ্টির পানি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বারবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোনো সমাধান মেলেনি। এতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ফুটবল অনুশীলন, ছাত্র সমাবেশসহ মাঠভিত্তিক সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ২০১৭ সালে স্কুলভিত্তিক আন্তঃজেলা ফুটবল খেলায় কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয় দলের সঙ্গে খারুয়া বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ফাইনাল খেলায় অংশ নেয়। কিন্তু মাঠে পানি জমে থাকায় কয়েক বছর ধরে অনুশীলনের সুযোগ না থাকায় শিক্ষার্থীরা ফুটবল খেলায় অংশ নিতে পারছে না।  খারুয়া বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়ম জানায়, মাঠে পানি থাকায় তারা খেলাধুলা করতে পারে না। প্রতিদিনের সমাবেশে অংশ নিতে পারে না। 

খারুয়া বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, খেলাধুলা, শিক্ষাসহ খারুয়া বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের খ্যাতি পুরো জেলায় ছড়িয়ে আছে। মাঠের জলমগ্ন অবস্থায় খেলাধুলার সুযোগ না থাকায় প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী অন্য বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় চলে গেছে।

এ বিষয়ে গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এনএম আব্দুল্লহ আল মামুন বলেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে আবেদন আসলে টিআর, কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার উদ্যােগ নেওয়া হবে।