ঢাকা শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রাস্তার বেহাল 

মানুষের ভোগান্তি

বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৫, ০২:১৪ এএম

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার সীমান্তবর্তী বড়আঁচড়া গ্রামের মাঠপাড়া এলাকার একমাত্র রাস্তার বেহাল এলাকাবাসীর দৈনন্দিন জীবন বিপর্যস্ত করেছে। ভেঙে যাওয়া, খানাখন্দে পূর্ণ রাস্তাটি এখন চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে, যার মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ, স্কুলশিক্ষার্থী ও পথচারী। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় প্রতিদিনের যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বেনাপোল মডেল পৌরসভার ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট আঁচড়া এবং বড়আঁচড়া গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বর্তমানে নাজুক অবস্থায়। রাস্তাটির সব খোয়া ও পিচ নষ্ট হয়ে গেছে, বালি পুকুর ও ড্রেনে চলে গেছে। এ কারণে অনেক ভ্যান ও ইজিবাইক উল্টে গিয়ে ড্রেনে পড়ে, শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুল যাত্রা উদ্বেগময় হয়ে উঠেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আব্দুল্লাহর বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া এ রাস্তার অবস্থা চোখে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না। মাত্র আধা কিলোমিটার রাস্তার জন্য আমরা তিন বছর ধরে ভোগান্তিতে আছি। দ্রুত রাস্তা ঠিক করে দিয়ে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হোক।’

স্থানীয় বাসিন্দা আসাদ বলেন, ‘গত তিন বছর ধরে ধুলোবালি, খানাখন্দ আর বেহাল রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়।’

বেনাপোল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার যোগ করেন, ‘রাস্তা পাকা হলে এলাকার আর্থ-সামাজিক গুণগত মানও বৃদ্ধি পাবে। এটি শুধুই সড়ক নয়, মানুষের জীবন ও নিরাপত্তার বিষয়।’

অন্য ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান বলেন, ‘রাস্তাটি দেখলে মনে হয় কোনো মেম্বার বা চেয়ারম্যান নেই। হঠাৎ পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়াতেও সমস্যায় পড়ি। যানবাহনও এ রাস্তা পছন্দ করে না।’

বেনাপোল পৌর প্রশাসক এবং শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, ‘আমি নিজে রাস্তাটির বেহাল দেখেছি। মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’