ঝিনাইদহের শৈলকুপায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার সকালে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে বহিরাগতদের হামলায় অন্তত ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
জানা যায়, গত সোমবার উপজেলার ২ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কিসমত আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুজ্জামান হিরকের বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে গতকাল সকালে ক্ষুব্ধ হয়ে শত শত শিক্ষার্থী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভ চলাকালে হটাৎ বহিরাগতরা বিদ্যালয়ের ভেতর ঢুকে আক্রমণ করলে অন্তত ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এর আগেও প্রধান শিক্ষকের অসদাচরণের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট ভাইরাল হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত সোমবার তিনি সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাজেভাবে স্পর্শ করেছেন। এ ঘটনায় আজ (গতকাল) আমরা বিক্ষোভ করলে স্যারের ইন্ধনে আমাদের ওপর বহিরাগতরা হামলা চালায়। আমরা এর বিচার চাই।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী জানান, প্রধান শিক্ষক যে ধরনের অপরাধ করেছেন এমন ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। আমরা দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা দেখতে চায়। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুজ্জামান হিরক বলেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক মহল চক্রান্ত করে আমার এবং স্কুলের সম্মানহানির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ছাত্রীর শ্লীলতাহানির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
এ বিষয়ে জানতে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাসের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননি। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিক্ষক দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন