রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ০১:৩০ এএম

আয়ার বিরুদ্ধে স্কুলের মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ০১:৩০ এএম

আয়ার বিরুদ্ধে স্কুলের  মালামাল আত্মসাতের  অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মানিকদী আলফাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মী (আয়া) শরীফা খাতুনের বিরুদ্ধে পুরোনো মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা লিপি বেগম।

লিপি বেগম তার লিখিত অভিযোগে জানান, আলফাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে দুই রুমবিশিষ্ট একটি পরিত্যক্ত শৌচাগার ভেঙে ফেলার পর দুটি লোহার দরজা ও ৯০০ কেজি পুরোনো রড শরিফা খাতুন কাউকে না জানিয়ে চুরি করে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। মালামালের আনুমানিক মূল্য ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।

তা ছাড়া মালামাল আত্মসাতের বিষয়ে অন্য শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক ফাহমিদা খাতুনকে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধেও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন।

তিনি অভিযোগে আরও বলেন, চাকরি নেওয়ার সময় মিথ্যা তথ্য দিয়ে বয়স কমিয়ে চাকরিতে যোগদান করেন শরীফা। ১৯৮৭ সালে আয়া পদে যোগদানের বয়স অনুযায়ী শরীফা খাতুনের বড় ছেলের বয়সের পার্থক্য ১১ বছর। এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।

একজন শিক্ষক বলেন, শরিফা খাতুন দরজা ও রড নিতে আমি দেখেছি। তবে কিভাবে, কার অনুমতিতে নিয়েছে- তা জানি না।

সহকারী শিক্ষিকা জোনাকি বেগম বলেন, শরিফা খাতুন দরজা আর রড নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু কার অনুমতিতে এসব নিয়েছে সে বিষয়ে আমরা কেই জানি না।

অভিযুক্ত শরিফা খাতুন বলেন, পুরোনো টয়লেট ভেঙে নতুন করার সময় আমি ৪০ হাজার টাকার পুরোনো ইট কিনেছিলাম। তখন ইটগুলো পরিষ্কার ও পরিবহন করতে আমার অতিরিক্ত আরো ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। বিষয়টি আমি স্কুল কর্তৃপক্ষে কাছে জানালে তখনই তারা আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিল আমি নেইনি। আমি ইট কিনে লোকসানে পড়ায় স্টোররুমে পড়ে থাকা পুরোনো দুটো দরজা আর কিছু রড আমি নেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবদার করলে প্রধান শিক্ষিকা আমাকে ওগুলো দিয়ে দেন।  আমার স্বামী প্রতিবন্ধী। আমি অত্যন্ত গরিব মানুষ। টাকা দিয়ে জিনিস কিনে এখন নানা কথা শুনতে হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন বলেন, স্কুলের লিপি বেগম নামে একজন শিক্ষিকা আয়া শরিফা খাতুনের বিরুদ্ধে মালামাল চুরির লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!