ফরিদপুরের সালথায় মসজিদের চাবি না দেওয়ায় বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী সরকারের পতনের পর থেকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রামকান্তুপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান ও ইমরান মোল্যার সঙ্গে মৌলভী হেমায়েত হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। চলমান বিরোধের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে লুৎফর রহমান ও ইমরানের সমর্থক নজরুলের কাছে থাকা স্থানীয় মসজিদের দরজার চাবি চাইতে যান মৌলভী হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা। এ সময় চাবি না দেওয়ায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
এরপর থেকে দিনভর উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ, বাহিরদিয়া মাদ্রাসার আলেম-ওলামা ও বিএনপি নেতারা গিয়ে ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা করেন এবং উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু গতকাল সকাল ৬টার দিকে হেমায়েত হোসেনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইমরানের বাড়িতে হামলা চালায়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। এ সময় দুটি বাড়ি ও একটি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ইমরান মাতুব্বার ও মৌলভী হিমায়েত হোসেন দুজনই বিএনপির কর্মী তবে তাদের দলীয় কোনো পদ-পদবি নেই।
সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন