ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাল্যবন্ধুকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত যুবকের নাম উমর হাসান (২৩)।
মৃত উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মুরশিদ মিয়ার বাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত খাইরুল আমিন (২৪) একই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা চান মিয়ার ছেলে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় নবীনগর থানার ওসি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে দুই ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উমর ও খাইরুল শৈশবকাল থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।
সম্প্রতি ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে উমরের ঘরের সিঁধ কেটে খাইরুল প্রবেশ করে। প্রথমে ধারালো দা দিয়ে উমরের ঘাড়ে ও হাতে উপর্যুপরি কোপ দেন। এরপর তাকে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালানোর চেষ্টা করে।
এ সময় উমরের মা রাহেলা বেগম শব্দ শুনে ছেলের ঘরে প্রবেশ করলে ঘাতক খাইরুল তাকেও কোপ মেরে আহত করে পালিয়ে যায়।
নবীনগর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খাইরুল প্রথমে উমরকে কুপিয়ে ও পরে গলাকেটে হত্যা করে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন