বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ফজলুল করিম, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম)

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ০১:৪০ এএম

সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি

ফজলুল করিম, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম)

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ০১:৪০ এএম

সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি

***** দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পথচারী ও চালকরা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার গহীরা-হেঁয়াকো আঞ্চলিক মহাসড়কের নারায়ণহাট অংশে সড়কের মাঝখানে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দ্রুতগতির যানবাহন এই খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, খুঁটিটি দ্রুত না সরালে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

জানা যায়, গহীরা-হেঁয়াকো দুই লেনের এই আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণের সময় সড়কের ওপর থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিটি না সরিয়েই কাজ শেষ করা হয়। ফলে ওই স্থানে সড়ক সরু হয়ে গেছে। সড়কের পশ্চিম পাশে রয়েছে নারায়ণহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং উত্তর পাশে রয়েছে নারায়ণহাট বাজার। প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ এই পথে চলাচল করায় ঝুঁকি আরও বেড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির দুই পাশে সারি সারি বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকলেও একটি খুঁটি রয়েছে সড়কের ঠিক কালো পিচের ওপর ঘেঁষে। ফলে যানবাহনগুলোকে খুঁটির সামনে এসে এঁকেবেঁকে পার হতে হয়। এতে কৃত্রিমভাবে একটি বাঁক তৈরি হয়েছে এবং চালকদের বিপরীত লেনে গিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। ফলে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্থানীয় অটোরিকশা চালক আবদুল করিম বলেন, ‘রাতের বেলায় এই জায়গাটা খুব বিপজ্জনক। ইতোমধ্যে কয়েকবার অল্পের জন্য বেঁচে গেছি।’ বাসচালক রফিকুল ইসলাম জানান, ‘খুঁটিটা সড়কের মাঝে থাকায় বড় বাস ঘুরাতে কষ্ট হয়। হঠাৎ সামনে ছোট গাড়ি এলে ধাক্কার আশঙ্কা তৈরি হয়।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. সেলিম উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে খুঁটি সরানোর দাবি জানানো হচ্ছে, কিন্তু কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এখানে স্কুল, বাজারÑ সবকিছু পাশে। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দায় নেবে কে?’

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ফটিকছড়ি উপ-সহকারী প্রকৌশলী অনুপম শর্মা বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত ছিলাম না। আমরা এটি সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে চিঠি দিব। যত দ্রুত সম্ভব খুঁটিটি সরিয়ে নেওয়া হবে।’ এদিকে, বিষয়টি জানতে দাঁতমারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়াকে বারবার মুঠোফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এই খুঁটি সরিয়ে সড়ক প্রশস্ত করে নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। তারা সড়ক ও বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!