চট্টগ্রামের পটিয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রাশেদুল আলম পাভেলের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রেললাইনের পাশে দোকান বসানোর অভিযোগ উঠেছে। পটিয়া জমিরিয়া মাদ্রাসার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক সভাকে কেন্দ্র করে এসব দোকান বসানো হয়।
মাদ্রাসার মুহতামিম আবু তাহের কাসেমী নদভী বলেন, ‘রেললাইনের পাশে দোকান বসানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমরা স্টেশন মাস্টারকে দোকানগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য জানালেও অদৃশ্য শক্তির কারণে প্রতি বছরই দোকান বসে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, পটিয়া রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী মেইন লাইন ঘেঁষে পঞ্চাশেরও বেশি দোকান বসানো হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এসব দোকান যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। স্থানীয়রা জানান, গত বছরের সভার শেষ দিনে একজন পান দোকানি দুর্ঘটনার শিকার হন।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, স্টেশন মাস্টার রাশেদুল আলম পাভেল মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে দোকান বসানোর অনুমতি দিয়েছেন। তার নির্দেশে পয়েন্টম্যান মাহবুবুর রহমান সাজু দোকান বসানো ও টাকা আদায়ের কাজ তদারক করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ কারণে বৃহস্পতি ও শুক্রবার ট্রেনগুলোকে মেইন লাইনের বদলে লুপ লাইন ব্যবহার করতে হবে। এতে যাত্রীদের ওঠানামায় ভোগান্তি বাড়বে। স্থানীয় জয়নাল নামে এক লোক জানান, তিনি আগে দোকান বসালেও এখন বসাননি। স্টেশনমাস্টার পাভেল সাহেবের সঙ্গে কে বা কারা কথা বলে এই দোকানগুলো বসিয়েছে।
স্টেশন মাস্টার রাশেদুল আলম পাভেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘রেললাইনের পাশে দোকান বসানোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’ কারা দোকান বসিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছু দোকান পুলিশ রাতে উঠিয়ে দিয়েছে। বাকিগুলোর বিষয়ে জিআরপিকে জানানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে রেলওয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনিসুর রহমানকে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

