ঢাকা শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫

বরগুনায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষকের ফাঁসি

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৫, ০২:৪৮ এএম

বরগুনার বেতাগী উপজেলার শরিষামুড়ি ইউনিয়নে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে ধর্ষককে সর্বোচ্চ রায় মৃত্যুদ-ে দ-িত করেছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-ের আদেশ দেন আদালতের বিচারক।

ফাঁসির রায়ে দ-িত আসামির নাম মহাসিন কাজী (৪৫)। তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের সরিষামুড়ি গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টায় বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার রায় প্রদান করেন। রায় চলাকালীন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সোমাবার সকাল সাড়ে ৬টায় মক্তবে যাওয়ার সময় ভিকটিমকে রাস্তায় একা পেয়ে ধর্ষক মহসিন কাজী প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গলায় চাকু ধরে নিয়ে খালের পাশে ঝোপঝাড়ের মধ্যে কলাপাতা বিছিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর ভিকটিম বাড়িতে তার মাকে বললে তিনি ধর্ষক মহসিন কাজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে বেতাগী থানায় মামলা করেন।

এ বিষয়ে ভিকটিমের বড় বোন নাবিলা বলেন, এ রকম একটি অপকর্মের বিচার পেয়ে আমরা খুশি হয়েছি। ধর্ষণ মামলার বাদী ও ভিকটিমের মা মাফুজা বেগম বলেন, এই রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।

আসামি তার মাকে দেখে বলে ওঠে, ‘তোমার জন্য আমার ফাঁসি হয়েছে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘বাদীপক্ষের লোকজন মীমাংসা করাতে টাকা-পয়সা চেয়েছিল, আমি শাকপাতা বিক্রি করে খাই। তাদের চাহিদামতন টাকা দিতে পারিনি বলে আমার ছেলের ফাঁসি হয়েছে। আমি গরিব মানুষ, আপিল করব সেই সামর্থ্যও নেই।’

নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা শিপু বলেন, ‘মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এক শিশুকে মক্তবে যাওয়ার সময় মৃত্যুদ-ে দ-িত আসামি ধরে নিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনা একটা গর্হিত অপরাধ। আদালতে আমি অপরাধীর এই অপকর্ম রাষ্ট্রের পক্ষে প্রমাণ করাতে পেরেছি।’