প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আসছে বড় সুখবর। অবসান হচ্ছে অপেক্ষার প্রহর। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন বহুল প্রত্যাশিত দশম গ্রেডের স্বীকৃতি।
আপাতত হাইকোর্টের রায়ে বিজয়ী হওয়া ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের দাবি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। দেশের অন্যান্য প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও এই প্রক্রিয়া বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, রিট পিটিশন নম্বর-৩২১৪/২০১৮ এর রায় অনুযায়ী ৪৫ জন রিটকারি প্রধান শিক্ষকের বেতনস্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। বাকি প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।
এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘দশম গ্রেড বাস্তবায়নের এই পদক্ষেপের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি ছিল দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড বাস্তবায়ন। সে লক্ষ্যে আমরা ১৮ জুলাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছি। আশা করি সরকার দ্রুতই এই দাবিগুলো পূরণ করবে।’
তবে দশম গ্রেড বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে চাঁদাবাজি ও অনৈতিক লেনদেনের অভিযোগও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
অফিস আদেশে বলা হয়, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ দাবি করছে, যা গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। কেউ যেন এ ধরনের আর্থিক লেনদেনে জড়িত না হন। সেই আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে যারা চাঁদাবাজি করছে, তাদের নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সরকারের এই উদ্যোগ প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য আশার আলো জাগালেও, সবাই যাতে সমানভাবে এ সুযোগ পান এবং কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতেই এখন সবার নজর সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।
আপনার মতামত লিখুন :