ব্যক্তি গ্রাহক পর্যায়ে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি মোবাইল সিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অর্থাৎ এখন থেকে একজন ব্যবহারকারী সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারবেন। পাশাপাশি ১০-এর বেশি সিম থাকা ব্যবহারকারীদের আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সিমের সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০-এ নামিয়ে আনতে হবে। অন্যথায়, অধিক সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বন্ধ হয়ে যাবে। বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০-এর অধিক সিম থাকা ব্যবহারকারীদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এই সংখ্যা কমিয়ে আনতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর (এমএনও) প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করবেন। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে গ্রাহকেরা নিজেদের পছন্দনীয় সংখ্যায় সিম রাখবেন। যদি সেটি না হয়, তাহলে একজন ব্যবহারকারীর প্রতিটি সিম থেকে আসা রাজস্বের পরিমাণের ভিত্তিতে পৃথক একটি তালিকা করা হবে। এই তালিকায় ১০ পরবর্তী সব সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে গ্রাহক চাইলে প্রথম ১০টি সিম থেকে কোনো এক বা একাধিক সিম ডি-রেজিস্ট্রার করে, বন্ধ হওয়া তালিকা থেকে সমানসংখ্যক সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিম বন্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে আরও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি। যেমনÑ কোনো নম্বরে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস যেমন নগদ বা বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকলে, সেগুলোর তথ্য তালিকায় থাকতে হবে। একই সাথে, ব্যবহারকারীর যদি সব এমএনও’র সিম থাকে, তাহলে কার্যকর ১০টি সিমের মধ্যে সব এমএনও’র অন্তত একটি করে সিম রাখতে হবে।
এর আগে, ২০১৭ সালে একজন গ্রাহকের জন্য সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ২০২২ সালে সিম নিবন্ধন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন এলেও সিমের সংখ্যা অপরিবর্তিত ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জালিয়াতি, প্রতারণা ও অপরাধমূলক কর্মকা-ে মোবাইল সিম ব্যবহারের হার বেড়ে যাওয়ায় বিটিআরসি নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রাহক চাইলে ‘১৬০০১#’ নম্বরে কল করে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে ওই এনআইডিতে থাকা সব সিমের তালিকা দেখতে পারবেন।