ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

মেয়েদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৮:৪৮ এএম

আগামী বছরের ১ থেকে ২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় হবে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের আসর। এই টুর্নামেন্টে ১২টি দল অংশ নিচ্ছে। প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে খেলবে বাংলাদেশ নারী দল।

এরই মধ্যে গতকাল এশিয়ান কাপের ড্র হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। এই ড্রতে শক্ত গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চীন, উত্তর কোরিয়া ও উজবেকিস্তান। উত্তর কোরিয়া ১৪ বার এশিয়ান কাপের শিরোপা জিতেছে। আর চীন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। তারা তিনবার এশিয়ান কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে। উজবেকিস্তানও আগে এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলেছে। তাতেই বোঝা যাচ্ছে, আসন্ন নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।

সিডনিতে নারী এশিয়ান কাপের ড্র হয়েছে জমকালো এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সব দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা। প্রথমবার নারী এশিয়ান কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। ড্র অনুষ্ঠানের আগে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়েরা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া তাইওয়ান, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল। বাংলাদেশের পাশাপাশি জাপান, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও ফিলিপাইন ফটোসেশনে অনুপস্থিত। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন অনেক টুর্নামেন্টের ড্র তাদের সদর দপ্তর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরেই করে থাকে। নারী এশিয়ান কাপের ড্র অনুষ্ঠান একটু জমকালোভাবে সিডনি সময় সন্ধ্যা ৭টায় হারবারের সামনে করেছে।

বাংলাদেশ কখনো এশিয়া কাপের ড্রতে আমন্ত্রণ পায়নি। মহাদেশীয় মঞ্চে বাংলাদেশের পরিচিতি ও সম্মানিত হওয়ার সুযোগ এলেও বাফুফে সেটা কাজে লাগায়নি। এ নিয়ে বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানান, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। সভাপতিকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।’ মাহফুজা আক্তার কিরণ বাফুফের নারী ফুটবলের প্রধান। তিনিই মূলত পরিচালনা করেন প্রায় সবকিছু। এ বিষয়ে তিনি বল ঠেলে দিলেন সভাপতির কোর্টে। অস্ট্রেলিয়ায় ফটোসেশন কিংবা ড্র অনুষ্ঠানে যাওয়া একান্ত বাধ্যতামূলক নয়। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট খানিকটা ভিন্ন। অধিনায়ক আফিঈদা খন্দকার ও কোচ পিটার বাটলারÑ দুজনই এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্ট নিয়ে ব্যস্ত। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া-আসায় কমপক্ষে তিন দিন সময় ব্যয় হলে এতে বয়সভিত্তিক আসরের প্রস্তুতিতে ঘাটতি হতে পারে। সেটারও বিকল্প ছিল সিনিয়র কোনো খেলোয়াড়কে পাঠাতে পারত বাফুফে। যেমনÑ ড্রতে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করেন সঙ্গীতা বাসফোর (অধিনায়ক নন)।

সেই পথে অবশ্য হাঁটেনি বাফুফে। যাই হোক, নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ ভালো করলে প্রথমবারের মতো বিশ^কাপে খেলার ইতিহাস গড়ার সুযোগও আছে। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টারে উঠলে ২০২৭ সালের ব্রাজিল বিশ^কাপ ও ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে নারী ফুটবলে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হবে বাংলাদেশের।