ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫

এক বছরে বদলে যাওয়া ক্রীড়াঙ্গন

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৫, ১০:২১ এএম

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি হয়েছে। এই এক বছরে নতুন বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় নানামুখী পদক্ষেপ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) থেকে শুরু করে দেশের ক্রীড়া ফেডারেশন ও সংস্থাগুলোতে এসেছে নতুন নেতৃত্ব। ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য গঠন করা হয় সার্চ কমিটি। সব মিলিয়ে দেশের খেলোয়াড়, কোচ, সংগঠক ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু সেই আশা কতটুকু পূরণ হয়েছে?
গত ২৯ আগস্ট সার্চ কমিটি গঠন করে সরকার। তাদের প্রেসক্রিপশনে পুনর্গঠন করা হয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও সংস্থার কমিটি। তবে সার্চ কমিটি প্রস্তাবিত কমিটি নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক। গত ১০ মে কার্যক্রম অসম্পূর্ণ থাকা অবস্থায়ই সার্চ কমিটি বিলুপ্ত করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তৃণমূলের ক্রীড়াঙ্গনে গতি আনতে জেলা ও বিভাগীয় সংস্থাও সরকার ভেঙে দিয়েছিল দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতেই। তবে বছর পেরোলেও সেখানে পরিলক্ষিত হয়নি দৃশ্যমান উন্নয়ন। বিগত দিনে যেমন স্থবির ছিল তৃণমূলের ক্রীড়াঙ্গন, অধিকাংশ জায়গায় সেই পুরোনো চিত্রই। দক্ষ আর অভিজ্ঞ সংগঠকদের সঠিক মূল্যায়ন করতে না পারার জন্যই এই স্থবিরতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাবেক ফুটবলার ওয়ালী সাব্বিরের মতে, সার্চ কমিটিতে অনেক কমিটি করেছে, কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তাতে বোঝা যায়, সার্চ কমিটি দিয়ে যে লোকগুলো বাছাই করা হয়েছে তারা উপযুক্ত না। অন্যদিকে, বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘খুব বেশি বাস্তবায়ন হয়েছে, সেটা আমি বলব না। কারণ, এখনো জেলা পর্যায়ে খেলা হচ্ছে কি হচ্ছে না সেটা আমরা জানি না।’ গত এক বছরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে যতটুকু আলোচনা, তার পুরোটাই ক্রিকেট, ফুটবল ঘিরে। এর বাইরে কিছুটা আলোড়ন তোলে আর্চারি। তবে বাকি ফেডারেশনগুলো ছিল নিষ্প্রভ। বিগত সময়ে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ আরও কিছু টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজিত হলেও, এক বছরে অধিকাংশই ছিল কার্যক্রম শূন্য। এটা স্বীকার করতেই হবে যে, ক্রীড়াঙ্গনে এখন আগের মতো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নেই। দলীয়করণের আবর্তেও বন্দি নয়। তবে যোগ্য ও দক্ষ সংগঠকদের নিশ্চিত করার পাশাপাশি ফেডারেশনগুলোতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হলেই কাক্সিক্ষত অবস্থানে পৌঁছুতে পারে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।