বিপিএল গত আসরে চিটাগং কিংসকে ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বকেয়া রাখায় খবরের শিরোনাম হয় দলটি। এতে বিপিএলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। তবে চিটাগং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেন উলটো অভিযোগ করে বলেছেন, বিপিএলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বিসিবি। চিটাগং কিংসের কাছে ৪৬ কোটি টাকা পাওনা চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে বিসিবি। কিন্তু বিসিবির এত টাকা পাওনা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন সামির কাদের। তিনি বলেন, ‘বিপিএলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বিসিবি, স্টে অর্ডারের মধ্যে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে আদালত অবমাননা করেছে তারা, চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করতে বোর্ড থেকে এত দিন পর আগ্রহ দেখিয়েছে, আমি খুশি।’
লম্বা বিরতির পর গত বিপিএলে চিটাগং কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা নিয়েছিলেন তিনি। বিপিএলে এর আগে যখন দল নিয়েছিলেন তখনো পারিশ্রমিক বকেয়া-সংক্রান্ত জটিলতায় নাম জড়িয়েছিল তার। তবু বিসিবি তার সঙ্গে সমঝোতা করে দল নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ বিপিএলে দল নিয়ে আবারও পারিশ্রমিক জটিলতায় চিটাগং কিংস। বিসিবির কাছে চিটাগং কিংসের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং উপদেষ্টাসহ অনেকেই পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। এরই মধ্যে অনেক সমালোচনাও হয়েছে। পারিশ্রমিক বকেয়া থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেননি সামির কাদেরও। তবে এখানে তার চেয়ে বিসিবির দায় বেশি দেখছেন সামির।
তার দাবি, বিপিএলে লভ্যাংশের কিছু অংশ এখনো বিসিবির কাছে পান তারা। সেই অংশ থেকে বাকি পেমেন্টগুলো করে দেওয়ার জন্য বিসিবিকে ফেব্রুয়ারি মাসেই ফরম্যাট দেখিয়ে দিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তবে সেটা এখনো কেন হয়নি জানেন না বলে জানিয়েছেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক। তবে মেন্টর হিসেবে আসা শহিদ আফ্রিদির পুরো পেমেন্ট না পাওয়ার দায় নিজের কাঁধেই নিয়েছেন সামির। দুপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটা হয়েছে জানান তিনি। সামির বলেন, ‘বিপিএলের রেভিনিউ শেয়ার ৬০-৭০ শতাংশ পেয়েছি, বাকিটা থেকে বিসিবির পেমেন্ট করার কথা, কী পরিমাণ তারা করেছে, সেটা জেনে বিস্তারিত বলতে পারব। আফ্রিদির পেমেন্ট বাকি আছে, এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার, শুরুতে পেমেন্ট করেছি, পরে সে চলে যায়, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।’ বিপিএলের প্রথম দুই আসরেও পেমেন্ট-সংক্রান্ত জটিলতা ছিল চিটাগং কিংসের।
গত আসরে আসার আগে সেটা নিয়ে দুপক্ষের মধ্য মধ্যস্থতা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সামির। সেখানে তাকে সাড়ে তিন কোটি টাকা পরিশোধের কথা বলা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তবে হুট করেই সেটা ৪৬ কোটি কেন হলো, সে ব্যাপারে নাকি কিছুই জানেন না তিনি। চুক্তির কাগজপত্র বিসিবির কাছে চাওয়া হলে পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি। বিসিবি পরিচালকরাও এ টাকার অ্যামাউন্ট সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন সামির। দুপক্ষের মধ্যে ঠিকঠাক যোগাযোগ হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। তবে এখন বিসিবির পক্ষ থেকে তার সঙ্গে সমাধানের জন্য বসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সামির।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন