ডারউইনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রেকর্ড গড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড গড়েছেন এই ক্রিকেটার। ১২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ব্রেভিস। ৫৬ বলে খুনে ব্যাটিংয়ে ৮ ছক্কা ও ১২ চারে সাজানো তার ইনিংসটি। ব্রেভিসের সৌজন্যে ২১৮ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২২ বছর ১০৫ দিন বয়সে ম্যাচটি খেলতে নামেন ব্রেভিস।
বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে রিচার্ড লেভিকে ছাড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ বছর ৩৬ দিন বয়সে শতক করেছিলেন লেভি। আরেকটি রেকর্ডেও এদিন নাম লেখান ব্রেভিস। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার কীর্তি গড়েন তিনি। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাফ দু প্লেসির খেলা ১১৯ রানের ইনিংসটি এতদিন ছিল রেকর্ড। ইনিংসটির পথে ৪১ বলে সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ব্রেভিস, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যা দ্বিতীয় দ্রুততম। রেকর্ডটি ডেভিড মিলারের; ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫ বলে শতক ছুঁয়েছিলেন তিনি। ব্যাটিংয়ের ধরনে এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে অনেক মিল থাকায় ব্রেভিসের নাম হয়ে গেছে ‘বেবি এবি’।
বয়সভিত্তিক ক্রিকেট রাঙিয়ে জাতীয় দলে এসে খুব একটা ভালো করতে পারছিলেন না তিনি। এই ম্যাচের আগে ৮টি টি-টোয়েন্টি খেলে একবারও ফিফটি করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এদিন প্রতিভার ঝলক দেখান ব্রেভিস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পান প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি তার দ্বিতীয় শতক। এইডেন মার্করাম বিদায় নিলেন পঞ্চম ওভারে ক্রিজে যান ব্রেভিস। মুখোমুখি তৃতীয় বলে ডোয়ার্শিসকে চার মেরে রানের খাতা খোলেন তিনি। পরে ম্যাক্সওয়েলকে ওড়ান ছক্কায়। সেই যে ছুটে চলা, এরপর আর তাকে থামাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
দ্বাদশ ওভারে ম্যাক্সওয়েলের ওপর ছয় বইয়ে দেন ব্রেভিস। টানা ৪ বলে ৩টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন তিনি। প্রথম ছক্কায় ২৫ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। পরের ওভারেই জশ হেজেলউডকে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮০-র ঘরে পৌঁছে যান ব্রেভিস। পঞ্চদশ ওভারে কাক্সিক্ষত সেঞ্চুরির উষ্ণ ছোঁয়া পান তিনি। শতকের পর থেমে না গিয়ে নিজের ইনিংসকে টেনে নেন ব্রেভিস। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলে দলের রান ২০০ ছাড়াতে রাখেন সবচেয়ে বড় ভূমিকা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন