এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাই আন্তর্জাতি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের ম্যাচটি শুরু হবে। এই ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে আত্মবিশ^াস ছাড়া কোনো কিছুই পক্ষে নেই আমিরাতের। কেননা, দুই দলের শক্তির ব্যবধান অনেক। পরিসংখ্যানেও একচ্ছত্র আধিপত্য ভারতের। তার পরও সাহস হারাচ্ছে না আমিরাত। ভারত ম্যাচ সামনে রেখে আমিরাতের কোচ লালচাঁদ রাজপুত বলেছেন, ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবে তার দল। বড় ধরনের আপসেট ঘটানোর চেষ্টায় থাকবে স্বাগতিকেরা।
এশিয়া কাপের রেকর্ড সর্বোচ্চ আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নও তারা। তিনবার রানার্সআপও হয়েছে তারা। টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নও ভারতীয়রা। অন্যদিকে, মাত্র চতুর্থবারের মতো এশিয়া কাপে খেলছে আমিরাত। তাদের অর্জন সর্বোচ্চ পঞ্চম স্থান অর্জন করা। সব মিলে ভারত ও আমিরাতের মধ্যে এক অসম লড়াই-ই দেখা যেতে পারে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারত ও আমিরাত একবারই পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল। সেটিও আবার এশিয়া কাপের মঞ্চে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়া আসরের নবম ম্যাচে আমিরাতকে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ৮১ রান করে আমিরাত। জবাবে ১০.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ভারতীয়রা। এবারও আমিরাতের বিপক্ষে তাদের দাপুটে জয়ই অনুমিত। তবে এবার ভারতের সাবেক টেস্ট ব্যাটসম্যান রাজপুত থাকবেন আমিরাতের ডাগআউটে। তার সাবেক শিষ্য গৌতম গম্ভীর আছেন ভারত দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে। গম্ভীর প্রসঙ্গে রাজপুত বলেছেন, ‘ওই সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন ছিল গম্ভীর। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে সর্বোচ্চ রানও করেছে সে। অনেক বছর পর ওর সঙ্গে দেখা হবে, নিশ্চয়ই ভালো আলাপ হবে।’
কাগজে-কলমে ভারত অনেক এগিয়ে থাকলেও রাজপুত বিশ^াস করেন, টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো দলই এক দিনে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘ভারত বড় দল, শেষ বিশ^কাপের চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে এক দিন ভালো খেললেই জয় সম্ভব। একজন ব্যাটসম্যান কিংবা একজন বোলার পুরো ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমরা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলব।’ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে আমিরাত। যদিও সব ম্যাচে হেরেছে তারা।
তবে রাজপুত মনে করেন, ত্রিদেশীয় সিরিজের অভিজ্ঞতা এশিয়া কাপে কাজে লাগবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিং ভালো, স্পিন বিভাগেও দক্ষতা আছে। খেলোয়াড়েরা ইউএই কন্ডিশনের সঙ্গে পরিচিত। তবে বড় দলের বিপক্ষে সেটা কেমন কাজে লাগাতে পারি, সেটাই এখন প্রশ্ন।’ ভারত খুবই শক্তিধর দল। এশিয়া কাপের টপ ফেভারিট তারা। এই দলে তারকা ক্রিকেটারে সমৃদ্ধ। সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, শুবমান গিল, অভিষেক কিংবা তিলকের মতো খেলোয়াড়েরা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। তাদের মোকাবিলা করা যে আমিরাতের জন্য কঠিন এক পরীক্ষা হবে, সেটি নিঃসন্দেহে বলে দেওয়া যায়।