হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশন শুরু হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য টাইগারদের। তবে অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকের মতে, গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়বে বাংলাদেশ। আবার অনেকে বাংলাদেশেল প্রবল সম্ভাবনার ব্যাপারে আত্মবিশ^াসী। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার মোহাম্মদ আশরাফুল বললেন, এশিয়া কাপে বাংলাদেশ সুপার ফোরে খেলবে। অর্থাৎ, গ্রুপ পর্ব উতরানোর পর শেষ চারে খেলবে বাংলাদেশ। আশরাফুল প্রত্যাশা করছেন, ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরবর্তী রাউন্ডে খেলবে বাংলাদেশ দল। তাদের গ্রুপে রয়েছে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের শক্তিশালী দল।
বাংলাদেশের গ্রুপকে কঠিন বলা হলেও আশরাফুল দেখছেন সহজ সমীকরণে। তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান আর হংকংয়ের সঙ্গে আমাদের খেলা। আমরা অতি সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার মাটিতে গিয়ে সিরিজ জিতে এসেছি। ফলে আশা করি, আমরা সুপার ফোর খেলতে পারব।’ আশরাফুল আর বলেন, ‘যেহেতু আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ জিতে এসেছি, তাই লঙ্কানদের সঙ্গে আমরা মোরালি ও মেন্টালি আপার হ্যান্ডে থাকব। তাই আমার মনে হয় শ্রীলঙ্কার সঙ্গেই জেতার সম্ভাবনা থাকবে বেশি। আফগানদের সঙ্গেও যে আমাদের চান্স নেই, তা নয়। আমরা তো মনে হয় আফগানদেরও হারানো সম্ভব।’ আফগানিস্তান দলের বড় শক্তি ব্যাটিং। আশরাফুল বলেন, ‘আফগান ব্যাটিং লাইনআপের লেজ তত লম্বা না। মিডল ও লেট অর্ডারে ধরে খেলার এবং ইনিংসটাকে নতুন করে সাজানোর দক্ষ, পরিণত আর অভিজ্ঞ ব্যাটার কম। ওদের ঘায়েল করার বড় অস্ত্র হলো টপ অর্ডারে আঘাত হানা। আমরা যদি শুরুর দিকে ওদের গোটা তিনেক উইকেটের পতন ঘটাতে পারি, তাহলে আফগানদের চাপে ফেলে দেওয়া অসম্ভব না। আমার মনে হয় আফগানদের ব্যাটিংয়ের মেরুদ-ই হলো টপ অর্ডার। সেখানে আঘাত করতে পারলে তাদের মাথা সোজা করে দাঁড়াতে কষ্ট হবে। তাতে করে আফগানদের হারানো সম্ভব। মোদ্দা কথা, আমি মনে করি আমাদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও সুযোগ আছে।’ বাংলাদেশের ব্যাটিং সামর্থ্য প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেন, ‘স্পেশালি লিটন ফর্মে আছে। অধিনায়কের ব্যাটে আত্মবিশ্বাস-আস্থার পাশাপাশি রানও এসেছে। তা অনেক বড় পাওয়া। তানজিদ তামিম বছরখানেক ধরেই ভালো খেলছে। অপর ওপেনার পারভেজ ইমনও গত ম্যাচে ভালো খেলেছে। লেট অর্ডারে সোহান, জাকের আলী, তাসকিনও খুব ভালো ফর্মে। সবাই তার সেরাটা দিতে পারলে বাংলাদেশের গ্রুপে সব ম্যাচ জেতা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে আফগানরাও কোনো বাধা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সাম্প্রতিক সময়ে আফগানদের খেলা দেখেছি। তারা কিন্তু খুব বড় রান করে না। আফগানদের গড়পড়তা স্কোরলাইন খুব বড় হয় না। ১৭০-এর মতো থাকে। কিন্তু বোলিং লাইনআপটা ধারালো, শক্তিশালী। বৈচিত্র্যও আছে বেশ। বোলাররা সেই স্কোরটাকে ডিফেন্ড করে ফেলেন। আমরা যদি টপ অর্ডারদের আর্লি আউট করে দিতে পারি, তাহলে আফগানদের বড় স্কোর গড়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আমাদের জয়ের সম্ভাবনা থাকবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন