শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম

কুষ্টিয়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট লাঞ্ছিত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম

কুষ্টিয়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেট লাঞ্ছিত

মাদকবিরোধী অভিযানে বাধার মুখে ম্যাজিস্ট্রেট। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সেই সঙ্গে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় অভিযান শেষ না করেই সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হন তারা। 

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ভেড়ামারার সাতবাড়ীয়া বিত্তিপাড়া এলাকায় ঘোড়াশাহের মাজারে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনায় ঘোড়াশাহ মাজারে যান। অভিযান টিমে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন। 

তারা অভিযান শুরু করতে গেলে সেখানে বাধা দেন মাজারে উপস্থিত ভক্ত-অনুসারীরা। এ সময় তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন ও অভিযান টিমের সদস্যদের লাঞ্ছিত করেন। পরে তোপের মুখে পড়ে অভিযান পরিচালনা না করেই তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন। 

ভেড়ামারা থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন এসিল্যান্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মাজারের লোকজনদের বাধার মুখে ফিরে আসেন তারা। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জটাধারী লাল পোশাকের কিছু উচ্ছৃঙ্খল ভক্ত-আশেকান প্রশাসন কাজ শুরুর আগেই আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করেন। বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই প্রশাসনের লোকজন ফিরে আসেন।’ 

ঘটনার শিকার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাজারে মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে মাজারের লোকজন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। ফলে অভিযান পরিচালনা করতে না পেরে আমরা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘কারা এই উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে তা বলা যাবে।’

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘শুনেছি এসিল্যান্ড সেখানে গিয়েছিলেন। ওই জায়গায় গাঁজা সেবনের অভিযোগ ছিল। এ ঘটনায় আমরা রেগুলার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

Link copied!