ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। পরবর্তীকালে কয়েক মাস ধরে চলা বাকযুদ্ধের পর ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের বিরুদ্ধে বেশকিছু বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাবের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন দেশ দুটির ব্যবসায়ীরা।
দেশীয় শিল্পকে সস্তা আমদানির চক্র থেকে বের করে আনতে বাংলাদেশ সম্প্রতি ভারতের কাছ থেকে স্থলপথে তুলা আমদানি নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দিয়েছে।
ভারত হঠাৎ করেই বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা স্থগিত করার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকার তরফ থেকে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ ভারতের সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারত।
কিন্তু ‘কনজেশন’ বা পণ্যের ‘তীব্র জট’ তৈরি হচ্ছে – এই অজুহাত দেখিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত।
প্রসঙ্গত, গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের ভয়াবহ অবনতি ঘটে।
ক্ষমতা হারিয়ে বর্তমানে তিনি ভারতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন এবং বাংলাদেশ পরিচালনা করছে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, অর্থপাচার ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ আছে। এগুলোর বিচারের জন্যই দিল্লির কাছে বারবার শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার দাবি করে আসছে ঢাকা।
তবে, দিল্লি এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।
আপনার মতামত লিখুন :