বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২ আগস্ট) তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান অপুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
অপুর পক্ষে তার আইনজীবী মো. শাহ আলম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অপুর চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই মোক্তার হোসেন জানিয়েছেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ দলের সদস্য। তারা দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে এ মামলার বাদীসহ বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা নেয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তাদের এরকম কার্যকলাপ প্রচারিত হচ্ছে। এছাড়া ভুক্তভোগী আরও কিছু মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করেছে মর্মে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ আছে বলে জানা যায়।
এতে বলা হয়েছে, এ আসামিকে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাপর আসামিদের ও তাদের গডফাডারদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। এছাড়াও বাদীর কাছ থেকে গত ১৭ জুলাই গ্রহণ করা চাঁদার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাতে ঢাকার ওয়ারী থেকে অপুকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানিয়েছিলেন।
চাঁদাবাজির ওই ঘটনায় এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক রিয়াদ, সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. ইব্রাহিম হোসেন ওরফে মুন্না এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই পাঁচজনের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যার পর গুলশান ২ নম্বরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ওই পাঁচজন।
এদিকে, ‘সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাপরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার’ অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাবকে সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারা দেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আপনার মতামত লিখুন :