বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম

স্বামীকে নিহত দেখিয়ে মামলা

প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে মামলা করিয়েছে, বললেন সেই নারী

সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম

প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে মামলা করিয়েছে, বললেন সেই নারী

ফাইল ছবি

ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গুলিতে স্বামী নিহত হয়েছেন দাবি করে শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী কুলসুম আক্তারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজার থেকে আটকের পর গতকাল শুক্রবার তাঁকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল। ওই দিনই আদালত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিয়ে তাঁকে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেন।

এদিকে, মিথ্যা মামলার ইন্ধনদাতা রুহুল আমিন গুলজার ও শফিউদ্দিনকে আটকের পর ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার বিজয় মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্বামী আল-আমিন মিয়া (৩৪) নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করে গত ২৪ অক্টোবর কুলসুম ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। পরে ৮ নভেম্বর তা আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত করা হয়।

কুলসুম আক্তার বলেন, পুলিশ গতকাল আমাকে আদালতে নিয়ে গেলে ম্যাজিস্ট্রেট আমার কাছে সব জানতে চান। মামলার বিষয়ে আমি আগে থেকে কিছুই জানতাম না বলে আদালতকে জানিয়েছি। রুহুল আমিন ও শফিউদ্দিন আমাকে প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে এসব করিয়েছেন। মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে আমি তাঁদের চিনি না। আল-আমিন মিয়া নামে যাকে মৃত দেখানো হয়েছে তিনি আমার স্বামী এবং তিনি জীবিত। এরপর আদালত আমাকে ছেড়ে দেন।

কুলসুম আরও বলেন, এই মামলা আমার জীবনকে তছনছ করে দিয়েছে। আমি আমার স্বামী ও সন্তানের কাছে ফিরতে পারছি না। আমি চাই দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি এবঙ রুহুল আমিন ও শফিউদ্দিনের সাজা হোক। ওরা যেন সহজে আর জেল থেকে বের হতে না পারে। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে রুহুল আমিন আমাকে যেকোনো সময় মেরে ফেলতে পারেন। ওর কাছে পিস্তল আছে, যা দেখিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে ভয় দেখাতেন তিনি।

কুলসুমের প্রবাসী বড় বোন ফাতেমা বেগম বলেন, আমি সম্প্রতি দেশে ফিরেছি। দেশে ফিরে আলোচিত এই মামলার কারণে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ যেতে পারছি না। রুহুল আমিন সাভার পৌর এলাকায় আমাদের একটি বাসা ভাড়া করে দিয়েছেন। বর্তমানে আমরা ওই বাসাতেই আছি।

তবে রুহুল আমিন ও শফিউদ্দিন বরাবরই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছেন।

রুহুল আমিন বলেন, মামলার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। কুলসুম নিজে বেঁচে আমাদের ফাঁসানোর জন্য এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

মিথ্যা মামলা করার পরেও কুলসুমকে ছেড়ে দেওয়া বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রকিবুল হোসেন বলেন, কুলসুমকে আমরা ছেড়ে দিইনি। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে আদালত তাঁকে নিজ জিম্মায় দিয়েছেন।

কুলসুমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে এসআই মো. রকিবুল হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রুহুল আমিন ও শফিউদ্দিনের বিষয়ে এসআই মো. রকিবুল হোসেন বলেন, তাঁদের আপাতত ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলমান।

জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, কুলসুমের মামলা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর রুহুল আমিন ও শফিউদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হবে। এ ছাড়া মিথ্যা মামলা করার অভিযোগেও মামলা হবে তাঁদের বিরুদ্ধে।

সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বলেন, কেউ মিথ্যা মামলা করলে আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় মামলা হয়। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পরবর্তীতে কুলসুমের বিরুদ্ধে ওই আইনে মামলা করা হবে। আপাতত তিনি আদালতের নির্দেশে নিজের জিম্মায় রয়েছেন। আমরা তাঁকে ছেড়ে দিইনি।

আরবি/ এইচএম

Link copied!