বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৮:২১ পিএম

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৮:২১ পিএম

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ৩ মাস ১৩ দিনে পাওয়া গেছে রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এছাড়াও রয়েছে স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা। দানের এসব অর্থ মসজিদের স্থানে আন্তর্জাতিক মানের কমপ্লেক্স বানানোসহ দরিদ্র-অসহায় রোগীদের চিকিৎসার কাজে ব্যয় হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মসজিদের লোহার দানসিন্ধুক যেন টাকার খনি। খুলতেই দেখা যায় শুধু টাকা আর টাকা। এসব টাকা বস্তায় ভরে নেওয়া হয় ওই মসজিদের দোতলায়। পরে মসজিদের মেঝেতে বসে টাকা গুনেন প্রায় দেড়’শ মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকসহ ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা। তিন থেকে চারমাস পরপরই এমন দৃশ্যের দেখা মিলে কিশোরগঞ্জের এই পাগলা মসজিদে। এবার ৩ মাস ১৩ দিন পর শনিবার সকালে মসজিদের ১০টি দানবাক্স খুলে বের করা হয় ২৯ বস্তা টাকা। এছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, রূপা ও স্বর্ণালঙ্কার।

এর আগে, চলতি বছরের ১৭ আগস্ট এই মসজিদের দানবাক্সে ৪ মাস ১০ দিনে পাওয়া গিয়েছিল ২৮ বস্তা টাকা। দিন শেষে গণনা করে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, রূপা ও স্বর্ণালঙ্কার।

দূর-দূরান্ত থেকে আসা কয়েকজন দানকারীর দাবি, এই মসজিদে সঠিক নিয়তে মানত করলে রোগ-বালাই দূর হওয়াসহ বিভিন্ন মনোবাসনা পূর্ণ হয়।

এমন বিশ্বাস থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সকল ধর্মের মানুষ প্রতিনিয়ত মানতের নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, বৈদেশিক মুদ্রা, গরু, ছাগল, হাস, মুরগিসহ বিভিন্ন সামগ্রী দান করে থাকেন।

দানবাক্সের নগদ টাকা ছাড়াও প্রতিদিন পাওয়া গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রতিদিনই বিক্রি করে টাকা রূপালী ব্যাংকে রাখা হয় বলে জানায় মসজিদ কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এই পাগলা মসজিদের আয় দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণ করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মসজিদের সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।

জনশ্রুতি রয়েছে, প্রায় আড়াই’শ বছর আগে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদ এলাকা জেলা শহরের হারুয়ায় থামেন। তাকে ঘিরে সেখানে অনেক ভক্তকুল সমবেত হন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। পরে কালক্রমে এটি পরিচিতি পায় পাগলা মসজিদ নামে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!