মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম

সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত; দেওয়ালের এক পাশে মন্দির অন্যপাশে মাদ্রাসা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম

ছবি, সংগৃহীত

ছবি, সংগৃহীত

ইটের দেওয়ালের এক পাশে সনাতনী মন্দির ও অপর পাশে ইসলামী মাদ্রাসা। দুই ধর্মের মতবিরোধ ছাড়াই সম্প্রীতির বিরল মেল বন্ধন হিসাবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। হিন্দু ধর্মের পুরোহিত ও মুসলিম ধর্মের মাদ্রাসা প্রধানের সমন্বয়ে চলে পূজা-অর্চনা এবং কুরআন তিলাওয়াত।

সরেজমিনে দেখাযায়, দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের শালবাগান কালীবাড়িতে রয়েছে সর্বজনীন কালী মন্দির। সেই চত্বরে দুর্গাপূজাও উৎযাপন করা হয়। ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা এই মন্দিরটির উত্তর দেওয়ালের অপর দিকে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় ছালেহিয়া দারুস সুন্নাহ এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং, হাফেজিয়া মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসায় ৪৩ জন ছাত্র ইসলামী শিক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে।

মন্দিরে পূজা অর্চনা এবং হাফেজিয়া মাদ্রাসায় কুরআন শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে শুরু থেকে। দীর্ঘ তিন যুগ সহাবস্থানে থেকে ধর্মীয় কার্যক্রম চললেও সেখানে কখনো কোনো মতবিরোধের সৃষ্টি হয়নি। বরং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা-পার্বণে মুসলিমদের সহযোগিতা স্থানীয় হিন্দুদের উজ্জীবিত করে রাখে।

বিরামপুর থানার ওসি মমতাজুল হক রোববার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই দুটি প্রতিষ্ঠান সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তার উপস্থিতিতে দুই সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ তাদের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।

হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো দিন তাদের লেখাপড়া ও কুরআন শিক্ষার কাজে কেউ ব্যাঘাত সৃষ্টি করেনি। দেওয়ালের অপর পিঠে অবস্থিত মন্দিরের পুরোহিত ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কমিটির লোকজনের সঙ্গে সুমধুর সম্পর্ক বিরাজ করছে।

সার্বজনীন কালী মন্দিরের পুরোহিত জগদীশ সাধু (৯৫) বলেন, ৫০ বছর ধরে এই মন্দিরে পূজা অর্চনার কাজ করে আসছেন। কোনো দিন কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেনি। বরং এলাকার মুসলিমরা তাদের সহযোগিতা করে থাকেন। মন্দিরের পুরোহিত ও মাদ্রাসার শিক্ষকের সমন্বয়ের মাধ্যমে চলে হিন্দুদের পূজা-পার্বণ এবং মুসলিমদের ধর্মীয় কাজ।

আরবি/এস

Link copied!