রাজশাহীর মোহনপুরে দেশীয় মদ পটেনসি (কট) খেয়ে চারজন নিহত হয়েছেন। মদ খেয়ে আর চারজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মারা গেছেন তিনজন। আর বৃহস্পতিবার সকালে মারা গেছে আরও একজন। তবে শেষের মৃত ব্যক্তিকে মাদক সেবন করে নই, বরং হার্টফেল করে মারা গেছে বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছ। তবে তার মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। চারজন নিহতের ঘটনায় উপজেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
নিহতরা হলেন- মোহনপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সোলেমান আলীর ছেলে মন্তাজ (৪২), ময়েজ মন্ডলের ছেলে টুটুল (২৮), মোংলার ছেলে একদিল (৫০) ও করিষা গ্রামের তুজাম্মেলের ছেলে জুয়েল (২৫)। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান মোংলার ছেলে একদিল।
এদিকে, অসুস্থ হয়ে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন- দুর্গাপুর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে পিন্টু (৩৫), মৃত জাহান আলীর ছেলে আকবর (৪৬), সাঈদ আলীর ছেলে মোনা (২৮) ও আফসার আলীর ছেলে ফিরোজ হোসেন (২৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ধোরর্সা গ্রামের হান্নান দেশীয় মদ পটেনসি (কট) ব্যবসা করেন। তার কাছ থেকে ক্রয় করে নিহত মন্তাজের বাড়িতে বসে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে মদ পান করে হতাহতরা। তারপর তাদের শরীরের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করলে একে একে চারজন মারা যায় ও চিকিৎসা নিতে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হন মাদকসেবীরা।
মোহনপুরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ও মূলহোতাদের শাস্তির দাবি করেন এলাকাবাসী।
মোহনপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবীব বলেন, তারা সকলে একসাথে মদ পান করে মারা গেছে বলে আমরা ধারণা করছি। এমন ঘটনা আমরা কাম্য নয়। তাই সঠিক তদন্ত করে মাদক ব্যবসায়ীসহ অর্থের বিনিময়ে মাদক নিয়ন্ত্রণকারীদেরও শাস্তি হওয়া উচিৎ। এ ঘটনার বিশেষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই আমরা দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছি ও মামলা নিয়েছি। এ ঘটনার সংশ্লিষ্ট জড়িতদের খুঁজে বের করতে আমাদের অভিযান চলছে। তদন্ত করে সকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 
                             
                                     সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন