বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম

কুষ্টিয়ায় শিশুকে যৌন নিপীড়ন : প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম

কুষ্টিয়ায় শিশুকে যৌন নিপীড়ন : প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ

ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ায় শিশুকে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্তের প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শনিবর (১৫ মার্চ) দুপুরে অভিযুক্ত ব‌্যক্তির দোকান ভাঙচুর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সাগজত (৫০)। সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের শিবপুর এলাকায় মুদিদোকানদার। তবে তিনি পলাতক রয়েছেন। ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার সূত্রে জানাগেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই শিশু  সাগজতের দোকানে যায়।

তখন তিনি বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে দোকানের মধ্যে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। মেয়েটি বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানালে মা-দাদিসহ প্রতিবেশী কয়েকজন নারী সাগজতের দোকানে গিয়ে জানতে চান। তখন অভিযুক্ত ব্যক্তি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। পরে ভুক্তভোগীর মা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে বিষয়টি জানালে তিনি তাঁদের থানা ও হাসপাতালে যেতে বলেন।কিন্তু খরচের কথা ভেবে তাঁরা আর সেখানে যাননি। 

শিশুটির বাবা বলেন, ‘ঘটনার দিন আমি ঢাকায় ছিলাম। বাড়ি আসলে আমার স্ত্রী ঘটনাটি জানায়। রাত অনেক হওয়ায় পরদিন সকালে আমি সাগজতের দোকানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই। তিনি ভুল স্বীকার করে মাফ চাওয়ার পর রাগান্বিত হয়ে তাঁকে তিনটা ঘুষি মারি। তখন আশপাশের লোকজন এসে ঠেকিয়ে দেয়।

এলাকাবাসী জানান, সাগজতের বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। তখন ভুক্তভোগী মেয়েটি ১৪ বছরের হওয়ায় তাঁর দরিদ্র পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বাধ্য হয়। এবারের ঘটনাও একটি পক্ষ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুরে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা। পরে তাঁরা সাগজতের দোকান ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘স্থানীয় কিছু শিক্ষার্থী সাগ‌জত নামের ওই ব‌্যক্তির টং দোকানে আগুন ধরিয়ে ‌দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করেছে।ভুক্তভোগী পরিবারটি এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি।

পরিবারটির সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ব‌্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরবি/আবু

Link copied!