বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন, দেশ এখন দুটি ধারায় বিভক্ত। একটা ধারা বলে নির্বাচন, নির্বাচন, নির্বাচন, আরেকটা ধারা বলে থাকে সংস্কার, সংস্কার, সংস্কার।
এখন সংস্কার প্রয়োজন, এটা ঠিক। কিন্তু এর জন্য সীমাহীন সময় দেয়া যাবে না। আজকাল আরেকটা নতুন শব্দ বের হয়েছে, এটা বেশি ইউজ করে একটি ইসলামী দল। শব্দটি হলো “যৌক্তিক”। এখন তাদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করি যৌক্তিকটা কতদিন, এটার কোন উত্তর পাওয়া যায় না।
এই যৌক্তিকটা কতদিন একমাস, ছয়মাস, একবছর না তিনবছর- আসলে যৌক্তিকটা কতো, এটার কোন উত্তর তাদের কাছে নেই। শব্দ একটাই শিখেছে বলে ‘যৌক্তিক’। যৌক্তিক বলে কোন শব্দ রাজনীতির ইতিহাসে চলে না।
মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ইম্পিরিয়েল মেডিকেল কলেজের মাঠে চাঁদনিঘাট ইউনিয়ন বিএনপি পূর্ব শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এনসিপিকে ইঙ্গিত করে নাসের রহমান বলেন, এই ছেলেরা একেক সময় একেক মামাবাড়ির আবদার করে। কি ধরণের আবদার, প্রথমেই বলেছিলো ভোটারের ভোটের বয়স সতেরো বছরে নামিয়ে আনার প্রস্তাব। কিন্ত এটা তো একমাত্র সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়।
আরো কি বলেছে, দ্বিতীয় রিপাবলিক ঘোষনা দেয়ার জন্য। দ্বিতীয় রিপাবলিক কি? এটা কি সাতাশ বছরের ছেলেরা বুঝে। আসলে এই ছেলেগুলোর পেছনে দুজন তাত্বিক গুরু আছেন। এই দুজন তাত্বিক গুরু আগে তাদের বলে দেয় কখন কি বলতে হবে।
তারা বলে এই সংবিধান বাদ দিয়ে নতুন সংবিধান করতে হবে। তাদের বয়সই হলো এই সংবিধানের বয়সের অর্ধেক। আর তারা সংবিধান নিয়ে কথা বলে, তারা কারা? সংবিধান নিয়ে কথা বলার?। সংবিধানে অনেক কিছু পরিবর্তন আনতে হবে, তবে তা নির্বাচনের পরে। সংসদে আলোচনা করে পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু তারা আগেই চায়। কেন?
এটা বুঝতে কি রকেট সাইন্স জানতে হবে? কারা নির্বাচনে জয়লাভ করবে। বিএনপি ইনশাআল্লাহ আড়াইশো সিট নিয়ে ক্ষমতায় যাবে, আর তাদের ডর (ভয়) এখানেই।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন। চাঁদনিঘাট ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ আব্দুল মুকিত, মো. ফখরুল ইসলাম, বকসি মিছবাউর রহমান, মুজিবুর রহমান মজনু, বিএনপি নেতা আয়াছ আহমদ, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বদরুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ আহমেদ প্রমুখ।
দীর্ঘ সতেরো বছর পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় উৎসবের আমেজ দেখা দেয় নেতাকর্মীদের মাঝে। হাতির বহর ও ব্যান্ড পার্টির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় সম্মেলনের অতিথিদের। পরে এম নাসের রহমান জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। পরিবেশ করা হয় দলীয় সংগীত।
পাঁচটি ওয়ার্ড নিয়ে চাঁদনিঘাট পূর্ব শাখার কাউন্সিল অধিবেশনে ২৫৫টি জন ভোটারের মধ্যে ২০১জন সভাপতি পদে ভোট প্রদান করেন। এরমধ্যে চারটি ভোট বাতিল হয়। সভাপতি পদে মো. খলিলুর রহমান ১০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ইনসান আলী ৮৯ ভোট পান, তাকে রাখা হয় সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আলমগীর হোসেন নির্বাচিত হন।

 
                             
                                    

 সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন 
                                     
                                     
                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                                                                                     
                             
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       -20251025002118.webp) 
        
        
        
        
        
        
       
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন