ঢাকার ৪৫ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী। শিক্ষায় দেশের ‘রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিত হলেও চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসা শিক্ষার দিক থেকে এখনো পিছিয়ে জেলাটি।
শিল্পাঞ্চল খ্যাত নরসিংদী জেলায় স্থানীয় মানুষ ছাড়াও আশপাশের জেলার হাজার হাজার মানুষের বসবাস। চিকিৎসা খাতে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য রয়েছে মাত্র দুটি সরকারি হাসপাতাল।
একটি জেলা হাসপাতাল, অন্যটি সদর হাসপাতাল।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর বাসাইলে নির্মিত হয়েছে জেলার একমাত্র সরকারি নার্সিং কলেজ।
নির্মাণের কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাটির দৃশ্যমান কাজ দেখা যাচ্ছে না।
কলেজটি ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য চালু করা যায়নি বলে অভিযোগ নরসিংদীবাসীর। দীর্ঘদিন আগে ভবনের কাজ সম্পন্ন হলেও কোনো কারণ ছাড়াই বিলম্বিত হচ্ছে কলেজ চালুকরণ প্রক্রিয়া।
সঠিক সময়ে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চালু না হওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসা সেবার শিক্ষার্থীরা। জরুরি ভিত্তিতে নার্সিং শিক্ষক পদায়ন করে কলেজটি চালু করার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা।
নরসিংদী জেলার সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. আমিরুল হক শামীম বলেন, নার্সিং কলেজ উদ্বোধন হলে ঢাকার পরিবর্তে নরসিংদীতেই পাওয়া যাবে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এবং দক্ষ নার্স তৈরিতে যুগান্তকারী উন্নতি হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে জনবল ও বাকি সমস্যার সমাধান করে কলেজটির কার্যক্রম শুরু করা হবে।’
এদিকে, কলেজটি চালু হলে নরসিংদীবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করছেন স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা।