দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার কালামাটিয়া খালের ওপর নির্মিত একটি সেতু আট বছর ধরে সংযোগ সড়ক ছাড়াই পড়ে রয়েছে। এতে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সেতুটি আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের বাসুলী গ্রামের মরিয়ম বাজারের পাশে অবস্থিত। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কার্যত কোনো কাজে আসছে না।
এ অবস্থায় প্রায় ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি সাঁকো ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন।
তবে, উপজেলা প্রশাসন বলছে, সংযোগ সড়কের বিষয়ে মাসখানেক আগে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ১০ মে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৭১৮ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর কিছুদিন ব্যবহারযোগ্য থাকলেও ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় সেতুটির এক পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়।
এরপর দীর্ঘ ৮ বছরেও সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। বর্তমানে সেতুর একটি পাশ ব্যবহারযোগ্য থাকলেও অপর পাশে রয়ে গেছে ফাঁকা জায়গা। ফলে পারাপারের জন্য বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী সাঁকোর ওপর নির্ভর করছেন।
বর্ষা মৌসুমে এই সাঁকো হয়ে ওঠে আরও ভয়ানক। রোগী, শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
নুর ইসলাম, মহিরউদ্দিনসহ স্থানীয় কয়েক জন ব্যক্তি সেতুটির দুর্ভোগ নিয়ে কথা বলেছেন। এদের মধ্যে এক বাসিন্দা বলেন, ‘সেতুর এক পাশে গিয়েই থেমে যেতে হয়। কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচল খুবই কষ্টকর।’
‘দশটি গ্রামের মানুষ এ সেতু ব্যবহার করেন। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুর কোনো সুফল পাচ্ছি না’, বলেন আরেক বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, ‘মাসখানেক আগেই এটির ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কালামাটিয়া খালের ওপর সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়কের জন্য টেন্ডারের কাজ চলমান। টেন্ডার হলেই কাজ শুরু করা হবে।’