ঢাকা মঙ্গলবার, ০৬ মে, ২০২৫

পিরোজপুরে স্ত্রী-শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা 

পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৬, ২০২৫, ১১:৪১ এএম
অভিযুক্ত ওবাইদুল হক বাদল খান। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ওবাইদুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছেন।
 
সোমবার (০৫ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২)।

স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্ত বাদল এর আগে ৩ বার বিয়ে করেছিল। তবে কী কারণে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি নিহতের স্বজন কিংবা স্থানীয়রা।

গত ১৬ এপ্রিল প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করে ওবাইদুল হক বাদল খান। এরপর থেকেই সে স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বাস করত।

সোমবার রাত ১১টার দিকে তার ছেলে ইয়াছিন এক প্রতিবেশীকে জানায়, তার বাবা তার সৎ মা চম্পা এবং চম্পার মাকে হত্যা করেছে। এরপর সে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে চম্পার মামাতো বোন এবং প্রতিবেশী নাসিমা ঘরের মধ্যে গিয়ে দুইজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তাদের শরীরে এবং ঘরে আগুন জ্বলছিল। আগুন নিভিয়ে লোকজনকে খবর দেন তারা।

এদিকে খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ, ডিবি পুলিশ এবং সিআইডি পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছ। 
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত হত্যাকারী বাদলের ধাওয়া বাজারে একটি চায়ের দোকান রয়েছে।