ঢাকার সাভারে পিতাকে কুপিয়ে হত্যার পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন মেয়ে। পরে মেয়ের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে তাকে আটক করেন সাভার মডেল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে সাভারের মজিদপুরের কাঠালবাগান এলাকার আব্দুল কাদেরের ভাড়া বাড়ির ৫ম তলা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মেয়েকে আটক করা হয়। এর আগে ভোর ৪ টার দিকে পিতাকে হত্যার পর ৯৯৯-এ ফোন করেন সে নিজেই।
নিহতের নাম আব্দুস সাত্তার। তিনি নাটোর জেলার সিংড়া থানার ভগা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। প্রায় ৫ মাস আগে তারা ওই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, ‘২০২২ সালে নাটোর জেলার সিংড়া থানায় পিতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন মেয়ে। সেই মামলায় জেল খেটে সাভারে মেয়ের সঙ্গে আবার বসবাস শুরু করেন সাত্তার। এ ঘটনার জেরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল যাচ্ছিলো না। এটাই হত্যার কারণ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।’
সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আজ ভোর চারটার দিকে ৯৯৯-এ একটি কল আসে। নিহত আব্দুস সাত্তারের মেয়ে বলেন তার বাবাকে তিনি হত্যা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য বলেন তিনি। তার দেওয়া খবরেই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে তাকে আটক করা হয়েছে।’
ঘাতক মেয়ে জানান, ‘গতকাল রাতে ভাতের সঙ্গে ২০ টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবাকে খাবার খাওয়ান, পিতা ঘুমিয়ে পড়লে ভোর ৪ টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ৯৯৯-এ কল করেন তিনি।’
এ প্রসঙ্গে সাভার মডেল থানার এসআই ইমরান হোসেন বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় নিহতের মেয়েকেও আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’