শুক্রবার, ০৯ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৫, ১১:৫৫ এএম

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা

স্বামীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর মা হলেন রোজিনা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৫, ১১:৫৫ এএম

স্বামীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পর মা হলেন রোজিনা

ছবি-সংগৃহীত

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মাদারীপুরের একটি পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে প্রাণে বেঁচে যান অন্তঃসত্ত্বা রোজিনা বেগম। তাকে নিয়েই অ্যাম্বুলেন্সে করে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার উত্তর দুধখালী ইউনিয়নের মিঠাপুর গ্রামে নিহতদের বাড়িতে গেলে এ তথ্য জানান স্থানীয়রা।

একই পরিবারের নিহত চারজন হলেন- সদর উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের মাওলানা সামাদ ফকির, তার ছেলে হাফেজ বিল্লাল ফকির, স্ত্রী সাহেদা বেগম ও মেয়ে আফসানা আক্তার।

এ ঘটনায় আহত অবস্থায় রোজিনা বেগমকে রাজধানী ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বামীসহ পরিবারের চার জনকে হারানোর কয়েক ঘণ্টা পর সেখানে রাতে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে রোজিনা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অ্যাম্বুলেন্সে করে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রোজিনা বেগমকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন হাফেজ বিল্লাল ফকির ও তার পরিবারের সদস্যরা।

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা তালুকদার পাম্পের সামনে এলে তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটির সামনের চাকা ফেটে যায়। এ সময় মেরামত করার জন্য রাস্তার পাশে গাড়িটি থামিয়ে রাখা হয়। চাকা পালটানোর সময় বেপরোয়া গতিতে আসা ঢাকাগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে একই পরিবারের ৪ জনসহ ৫ জন মারা যায়।

স্থানীয়রা জানান, নিহত মাওলানা সামাদ ফকির ও তার ছেলে হাফেজ বিল্লাল ফকির দু’জনেই ছিলেন দুটি মসজিদের ইমাম। নিহত বিল্লালের স্ত্রী রোজিনা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছিলেন পরিবার। এ সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, একই পরিবারের ৪ জন নিহত হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। নিহতের পরিবার আবেদন করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।

Link copied!