শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসে সিগারেট পরিবহনের অভিযোগে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের তামাকজাত পণ্য জব্দ করেছে ভ্যাট ও রাজস্ব বিভাগ। এতে কর ফাঁকির পরিমাণ ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। জব্দকৃত সিগারেটগুলো ‘বিউটি টোব্যাকো কোম্পানি’র।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ৯টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের এসএ পরিবহনের কুরিয়ার সার্ভিস পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে এসব সিগারেট জব্দ করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, কুরিয়ার প্যাকেটের বৈধ শুল্ক বা ভ্যাট রশিদ চাওয়া হলে এস এ পরিবহনের ম্যানেজার তা দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে বিউটি টোব্যাকো কোম্পানির নামে বুকিংকৃত ২২টি কার্টনে থাকা মোট ২ লাখ ২০ হাজার শলাকা সিগারেট জব্দ করা হয়। জব্দকৃত সিগারেটের বাজারমূল্য আনুমানিক ১৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৪টি কার্টনে ছিল সেনোর গোল্ড ব্র্যান্ড এবং ৮টি কার্টনে ছিল কিং ব্ল্যাক ব্র্যান্ডের সিগারেট।
কাস্টমস্, এক্সাইজ ও ভ্যাট সদর সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা আবুল হোসেন আকন্দ বলেন, ভ্যাট চালান না থাকায় কুরিয়ার পয়েন্ট থেকে সিগারেটভর্তি কার্টনগুলো জব্দ করা হয়েছে। সিগারেট পাঠানোর আগে যথাযথ ভ্যাট পরিশোধ ও চালান প্রদান করতে হয়, যা এখানে মানা হয়নি।
তিনি আরও জানান, মালিকপক্ষ বৈধ ভ্যাট চালান প্রদর্শন করতে না পারলে বিউটি টোব্যাকো কোম্পানির বিরুদ্ধে শুল্ক ও ভ্যাট আইনে মামলা করা হবে।
এদিকে, চালান যাচাইয়ে অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করে এস এ পরিবহনের মানিকগঞ্জ শাখার ম্যানেজার মো. রাসেল বলেন, কাস্টমারের পণ্য পরিবহনের সময় চালান চাওয়ার বিধান আমাদের নেই। আমরা শুধু বুকিং অনুযায়ী মালামাল পাঠিয়ে থাকি।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ বলেন, জব্দকৃত সিগারেটের বিষয়ে তদন্ত চলছে। বিউটি টোব্যাকো কোম্পানি যদি শুল্ক বা ভ্যাট রশিদ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুল্ক ফাঁকি ও কর এড়িয়ে তামাকজাত পণ্য পরিবহনে কুরিয়ার সার্ভিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে শুল্ক কর্মকর্তাদের গাফিলতির বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কেননা সম্প্রতি একই কুরিয়ার সার্ভিস থেকে একই কায়দায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে তামাকপণ্য পাঠানোর সময় তিন কার্টন সিগারেট জব্দ করা হলেও এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা করা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :