রাঙামাটিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা ও হত্যা চেষ্টার ঘটনার প্রধান আসামি যুবলীগ ও বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সহ-সভাপতি মিলন নন্দী ওরফে নান্টুকে গ্রেপ্তার করেছে রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কাপ্তাইয়ের বড়ুইছড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে শহরের দক্ষিণ কালীন্দিপুর বাজারফান্ডে নিচ তালায় রিপোর্টার্স ইউনিটির জেলা অসিফের কক্ষে ঢুকে এ হামলা চালানো হয়।
প্রগতিশীল সাংবাদিকদের সংগঠন রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার সাংবাদিক এম কামাল উদ্দিনের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহর জুড়ে।
আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন বাজারফান্ড প্রশাসন ভবনের তৃতীয় তলায় সংস্কারকাজ চলছিল। কাজটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করছে জেলা পরিষদ।
অভিযোগ রয়েছে, প্রকল্পটির ঠিকাদারি কাজ একজন পাহাড়ি ঠিকাদারের নামে নিলেও প্রকৃতপক্ষে তা নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন যুবলীগ নেতা নান্টু।
হামলার শিকার কামাল উদ্দিন জানান, ভবনের তৃতীয় তলায় পাকা দেয়াল ভাঙার সময় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই কাজ চলছিল, ফলে ওপর থেকে ইটপাটকেল নিচে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শঙ্কা তৈরি হয়। এ সময় নিচতলায় রিপোর্টার্স ইউনিটির অফিসে প্রবেশকালে ওপর থেকে পড়ে আসা ইটের আঘাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। এরপর নিরাপত্তার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্বার করে রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
চিকিৎসক জানান, তার মাথায়,কপালে গুরুতর জখম ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এখানে স্বাস্থ্যের উন্নতি না হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মো. সাহেদ পারভেজ জানান, বুধবার সকালে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই নান্টু পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে আমরা মামলা দায়ের করার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাপ্তাই থানার বড়ইছড়ি এলাকা থেকে নান্টুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। আজ তাকে আদলতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :