সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় এক আবাসিক হোটেলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার লুৎফর রহমান (৪৫) এবং হোটেলের নাইট গার্ড খিজির আহমদ (৩৫)।
এই ঘটনায় জড়িত আরও দুজন পলাতক রয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এই ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঈদের দিন (সোমবার) রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে আসা এক গার্মেন্টস কর্মী সিলেট কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। নিজের বাড়িতে ফেরার জন্য কোনো বাস না পেয়ে তিনি একটি হোটেলের খোঁজ করছিলেন। এ সময় রিফাত (ওরফে মুরাদ, ২৫) নামের এক যুবক তার সাথে পরিচিত হয়।
রিফাত ওই নারীকে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলে কদমতলীর যমুনা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমকে একটি কক্ষ ভাড়া দেওয়া হয়।
রাত ৩টার দিকে হোটেলের ম্যানেজার লুৎফর রহমান (৪৫) জোরপূর্বক ওই কক্ষের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি এবং খিজির আহমদ (৩৫), রিফাত (ওরফে মুরাদ, ২৫) ও তানভীর (৩০) - মোট চারজন মিলে ভোর ৬টা পর্যন্ত পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।
ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল ১০টার দিকে হোটেল ম্যানেজার লুৎফর রহমান তাকে হোটেল থেকে বের করে দেন। পরে এক বাস স্টাফ ওই নারীকে কদমতলী বাসস্ট্যান্ডে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যান। র্যাবের কাছ থেকে খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পুলিশ ভিকটিমকে হেফাজতে নিয়ে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায় এবং ম্যানেজার লুৎফর রহমান ও নাইট গার্ড খিজির আহমদকে গ্রেফতার করেন।
ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এর ৯(৩) ধারায় একটি মামলা (মামলা নং-০২, তারিখ- ০৯/০৬/২০২৫) দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে। এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :