বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৫, ১১:৪১ পিএম

পর্যটকদের ভিড়ে মুখর কক্সবাজার সৈকত

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৫, ১১:৪১ পিএম

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটকদের ভিড়।       ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটকদের ভিড়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কোরবানির ঈদকে ঘিরে ছুটির আমেজে দেশজুড়ে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। ৮ জুন (শনিবার) থেকে বেড়ে চলা ভিড় মঙ্গলবার (১০ জুন) এসে লোকারণ্য রূপ নিয়েছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ ভিড় শুক্রবার (১৩ জুন) পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

বিশ্বের দীর্ঘতম এ সমুদ্রসৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও মেরিন ড্রাইভ পয়েন্টগুলো এখন উৎসবমুখর। ভ্রমণপিপাসুদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে এসব এলাকা।

সি সেইফ লাইফগার্ডের সিনিয়র কর্মী মো. ওসমান জানান, কেউ সাগরে স্নান করছেন, কেউ বালিয়াড়িতে ছবি তুলছেন, কেউবা ঘোড়ায় কিংবা বিচ বাইকে সওয়ার হয়ে উপভোগ করছেন সৈকত। তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ ভিড় করছেন সূর্যাস্ত উপভোগে।

তরুণ-তরুণী, পরিবার, দম্পতি-সবারই উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে সৈকতে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে আসা পর্যটক আরিফুল ইসলাম বলেন, টানা ছুটি খুব একটা পাওয়া যায় না। এবারের ঈদুল আজহার ছুটি আমাদের পরিবারসহ ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে।

আরেক পর্যটক কলিম উল্লাহ বলেন, গরমে লোকজন কম আসবে ভেবেছিলাম। কিন্তু রোদ-বৃষ্টি মিলিয়ে এমন আবহাওয়ায় পর্যটকের ভিড় বেড়েছে। বেশি লোক মানেই বেশি আনন্দ।

হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের ঈদে পর্যটক সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি হোটেল বুকিংও ছিল সন্তোষজনক।

ওশান প্যারাডাইস হোটেলের বিপণন ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ নুর সোমেল জানান, শুক্রবার পর্যন্ত ৭০-৮৫ শতাংশ বুকিং রয়েছে। স্থানীয় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে প্রায় ৫-৬ লাখ পর্যটক কক্সবাজারে আসতে পারেন।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, এই ঈদেও কক্সবাজারে শতকোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

পর্যটকদের নিরাপত্তায়ও নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের এএসপি নিত্যানন্দ দাস জানান, সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে ওয়াচ টাওয়ার ও মোবাইল টিমের মাধ্যমে কড়া নজরদারি চলছে। সাদা পোশাকেও রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জেলা প্রশাসনের একাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন।

এদিকে পর্যটন খাতের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে মঙ্গলবার কক্সবাজার ঘুরে দেখেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ভারপ্রাপ্ত সচিব) ফাতেমা রহিম ভীনা। হোটেল-মোটেল ও সৈকত তীর ঘুরে তিনি পর্যটকদের সুবিধা-অসুবিধা পর্যালোচনা করেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!