শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৫, ০৪:৩২ এএম

দায়সারা কাজেই বারবার ডুবছি, ক্ষুব্ধ ফেনীর মানুষ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৫, ০৪:৩২ এএম

বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। ছবি- সংগৃহীত

বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। ছবি- সংগৃহীত

ফেনীর ফুলগাজীতে টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা উজানের পানির চাপে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। এতে একাধিক গ্রামের বাড়িঘর ও বাজার প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা এই অবস্থার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়সারা কাজকেই দোষারোপ করছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত ১০টার দিকে মুহুরী নদীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের বণিকপাড়া ও সিলোনিয়া নদীর গোসাইপুর এলাকার বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এর ফলে উত্তর বরইয়া, দক্ষিণ বরইয়া, বণিকপাড়া, বসন্তপুর ও জগতপুর এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে। এছাড়া ফুলগাজী বাজারের একাংশও প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মোর্শেদ বলেন, ‘সকাল থেকেই পানি বাড়ছিল। স্থানীয়রা মিলে অনেক চেষ্টা করেও বাঁধ রক্ষা করা গেল না। গেল বছরের ভয়াবহ বন্যার পর মাত্র এক বছর পার হতেই আবার ডুবলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ড শুধু চোখে দৃষ্টিনন্দন কাজ করে, টেকসই কিছু করে না।’

ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম জানান, ‘প্রতি বছর বৃষ্টি হলেই বাজারে পানি ঢুকে পড়ে। দোকানের জিনিসপত্র নষ্ট হয়। কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। আমরা এখন এসব সহ্য করতেই শিখে গেছি।’

মনিপুর এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘বন্যা এলেই কর্মকর্তারা এসে জিও ব্যাগ দিয়ে কিছু কাজের আশ্বাস দেন। বন্যা চলে গেলে তারা আর আসেন না। এবারও পানি ঢুকেছে, তারা এল, দেখে গেল—কিন্তু বাস্তব পরিবর্তন কিছুই হয় না।’

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ফাহাদ্দিস হোসাইন বলেন, ‘উজানে ভারী বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বাড়ছে। যদিও মুহুরী নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে, তবে বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে স্থানীয়দের নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও সফল হইনি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’

Link copied!