সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ০৮:৫০ এএম

সন্তান জন্মের পর হাসপাতালের বিছানায় বসেই পরীক্ষা দিলেন ইশা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২৫, ০৮:৫০ এএম

হাসপাতালের বিছানায় বসেই পরীক্ষা দিচ্ছেন শরীয়তপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইশা । ছবি- সংগৃহীত

হাসপাতালের বিছানায় বসেই পরীক্ষা দিচ্ছেন শরীয়তপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইশা । ছবি- সংগৃহীত

অদম্য মনোবল, অগাধ সাহস এবং শিক্ষার প্রতি ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শরীয়তপুরের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সন্তান জন্মদানের মাত্র দুই দিন পর হাসপাতালের বিছানায় বসেই বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন শরীয়তপুর সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ইশা আলম (১৮)।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাশার গ্রামের মো. শাহ আলম সিকদারের মেয়ে ইশা আলমের বিয়ে হয় ২০২৩ সালের ২৮ জুন কাশাভোগ এলাকার মাহবুবুর রহমান তুষারের সঙ্গে। তুষার ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত।

সন্তানসম্ভবা অবস্থায়ও চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিলেন ইশা। গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পর শুক্রবার রাতে তার প্রসবব্যথা শুরু হয়। পরে দ্রুত শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে সেদিন রাতেই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি।

শারীরিক দুর্বলতা সত্ত্বেও রোববার (২৯ জুন) সকাল ১০টায় বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নেন ইশা। কলেজের অধ্যক্ষের অনুমতিতে এবং একজন নারী শিক্ষক ও এক নারী পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে ক্লিনিকেই পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।

ইশার স্বামী মাহবুবুর রহমান তুষার বলেন, ইশা সবসময় পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। সন্তান জন্মের পরপরই যে সে পরীক্ষায় বসবে, এটা কল্পনাও করিনি। কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

ইশা আলম বলেন, আমার স্বপ্ন বিচারক হওয়া। নারী অধিকার ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করতে চাই। এই কঠিন সময়ে যারা আমার পাশে ছিলেন, তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

সরকারি গোলাম হায়দার খান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ওয়াজেদ কামাল বলেন, মানবিক বিবেচনায় পরীক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইশার হাতের লেখা ছিল চমৎকার এবং সে মনোযোগের সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছে। মেয়েরা যেন সব বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে পারে- এই আমাদের প্রত্যাশা।

ইশার এই সাহসিকতা ও সংগ্রাম শুধু তার নয়, দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!