শেরপুরের নকলায় চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া ও নিবিড় পরিচর্যার ফলে পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। তবে পাট জাগ দেওয়ার পানির সংকট নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম শঙ্কা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর নকলায় ৫০৭ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে তোষা জাতের পাট ৪২০ হেক্টর, দেশি জাত ৪৫ হেক্টর, মেস্তা ২২ ও কেনাফ ২০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। পাট উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৩ হাজার কৃষককে বীজ ও সার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
পাঠাকাটা, ভূরদী, বানেশ্বরদী, মোছারচরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ পাটগাছ বাতাসে দোল খাচ্ছে। মাঠে কোনো উল্লেখযোগ্য রোগবালাই নেই, ফলে কৃষকরা আশাবাদী ফলন নিয়ে। তবে বৃষ্টি কম হওয়ায় খাল-বিল শুকিয়ে গেছে, ফলে পাট পচাতে পানির অভাবে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।

কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ফলন ভালো হলেও জাগ দেওয়ার মতো পানি পাচ্ছি না। এতে পাটের গুণগতমান কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।’
পাট চাষে আগ্রহ বাড়লেও অনেকেই অভিযোগ করছেন, ‘জাগ দেওয়ার পানির অভাব, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার কারণে অনেক কৃষক পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অপরিকল্পিতভাবে খাল-বিল ভরাট বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।’
ভূরদী খন্দকারপাড়া কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ছায়েদুল হক বলেন, ‘সোনালী আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাইলে সরকারিভাবে পাট চাষে স্থায়ী সহায়তা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহরিয়ার মুনসালীন মেহেদী বলেন, ‘পাটের বর্তমান অবস্থা সন্তোষজনক। অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় অনেক কৃষক পাট চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে জাগ দেওয়ার পানি সংকট নিরসনে স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।’
আপনার মতামত লিখুন :