রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ০২:০০ পিএম

বৃষ্টি হলেই মাদ্রাসা মাঠে জলাবদ্ধতা, ডেঙ্গু আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৫, ০২:০০ পিএম

লক্ষণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে থইথই পানি, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

লক্ষণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে থইথই পানি, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার মাঠে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। একই সঙ্গে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের আশঙ্কা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠিত ১৯৫৬ সালে, ঐতিহ্যবাহী এই দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠজুড়ে থইথই পানি।

পাশেই রয়েছে সড়ক, বাজার ও পুকুর। এসব স্থান থেকে পানি এসে মাদ্রাসা মাঠে জমে থাকে। মাঠটি আশপাশের তুলনায় নিচু এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হয়। মাঠে সাঁতার কাটছে হাঁস, খেলছে ছোট শিশু। শিক্ষার্থীরা হেঁটে চলাচল করতে পারছে না, কেউ কেউ হাঁটুপানির মধ্য দিয়েই শ্রেণিকক্ষে যাচ্ছে।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শাওন ও আয়েশা আক্তার বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠ পানিতে ভরে যায়। ফলে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হতে পারি না। ঘাস ও আগাছা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়, মশার উপদ্রব বাড়ে। আমরা ডেঙ্গু আতঙ্কে আছি।’

জলাবদ্ধতার কারণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শরীরচর্চা ও খেলাধুলাও বন্ধ রয়েছে বলে জানান শিক্ষকরা। তাদের মতে, বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে চললেও এখনো কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ছানা উল্লাহ বশারী বলেন, ‘সড়ক ও বাজারের পানি এসে মাদ্রাসার মাঠ ও পুকুরে জমে থাকে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। বিষয়টি বহুবার সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মাঠটি উঁচু না করলে ভবিষ্যতে শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।’

মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমি সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরীন এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তারা প্রতিবেদন দিলে, বরাদ্দের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Shera Lather
Link copied!