বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ১০:০১ পিএম

ঋণের চাপে নিজেকে শেষ করে দিলেন সিএনজি চালক

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ১০:০১ পিএম

সিএনজি চালকের মরহেদ দেখতে ভিড় করছে স্থানীয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সিএনজি চালকের মরহেদ দেখতে ভিড় করছে স্থানীয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঋণের বোঝা সহ্য করতে না পেরে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা কলেজ মোড় এলাকায় শামসুদ্দিন (৩২) নামে এক সিএনজি চালক ‘আত্মহত্যা’  করেছেন।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নওহাটা কলেজ মোড়ে অবস্থিত একটি ছাত্রাবাসের কক্ষে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।

পরে পবা থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিলা খাতুন বাদী হয়ে পবা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।

নিহত শামসুদ্দিন তানোর থানার তালন্দ বাজার এলাকার সামাসপুর গ্রামের মৃত এমাদউদ্দীন মন্ডলের ছেলে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শামসুদ্দিন ঋণের চাপে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।

পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দরজা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। ঘরটি ভেতর থেকে আটকানো ছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি বিষের বোতল এবং একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঋণের চাপেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহতের স্ত্রী শিলা খাতুন বলেন, ‘ব্যবসা ও সংসারের খরচ মেটাতে গিয়ে আমার স্বামী অনেক ঋণের বোঝায় পড়ে যায়। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে এসেছি।’

‘এখানে তাকে একটি সিএনজি কিনে দিয়েছি। সংসার চালানোর জন্য আমিও টেক্সটাইল মিলে কাজ করি। এই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে বাপের একটি জমি বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছি। এতকিছু করার পরেও সে আত্মহত্যা করেছে। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না।’

নওহাটা এলাকার একাধিক সিএনজি চালক জানান, শামসুদ্দিন সবসময় চিন্তায় থাকতেন। দিনে দিনে ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তারা সরকারের কাছে পরিবারের সহায়তার দাবি জানান।

Shera Lather
Link copied!