শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

পাঁচবিবিতে বেশিরভাগ সিসি ক্যামেরা গায়েব, বাড়ছে অপরাধ

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌরসভায় সিসিটিভি ক্যামেরার অধিকাংশই গায়েব হয়ে গেছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌরসভায় সিসিটিভি ক্যামেরার অধিকাংশই গায়েব হয়ে গেছে। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌরসভা ও আশেপাশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থাপন করা হয়েছিল দুই শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা। কিন্তু বর্তমানে এসব ক্যামেরার অধিকাংশই গায়েব হয়ে গেছে। 

ফলে ভারত সীমান্তবর্তী পৌর এলাকায় বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধ। তবে খুব শীঘ্রই নতুন করে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পাঁচবিবি পৌরসভা জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার অন্তর্গত ‘ক’ শ্রেণির একটি পৌরসভা। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ১০ বর্গ কিলোমিটার আয়োতনের এই পৌরসভায় মোট জনসংখ্যা ৩৬ হাজার ৭২৫ জন। 

পৌরসভাটি ভারত সীমান্তঘেঁষা হওয়ায় নানাবিধ অপরাধ কর্মকাণ্ড লেগেই থাকে। এ অবস্থায় ২০২৩ সালে পৌর প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দুই শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। ফলে অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই কমে আসে।

 

কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পালানোর দিন বিক্ষুব্ধ জনতা পৌর শহরের প্রায় সব সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেন। আবার কেউ কেউ সেগুলো খুলে নিয়ে যান। ফলে সীমান্তবর্তী এই পৌর এলাকায় আবারও চুরি, ছিনতাই, হত্যাকাণ্ডসহ নানাবিধ অপরাধ সংঘটিত হতে শুরু করে।

পৌর শহরের পাঁচমাথা এলাকায় অবস্থান নেওয়া রিকশাচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আগে দিনে-রাতে অটো চালাতাম। সিসিটিভি ক্যামেরা থাকায় ভয় পেতাম না। এখন রাস্তার ধারে অটো রেখে প্রস্রাব করতে গেলেও ভয় লাগে। বেশকিছু দিন থেকে শহরের বেশকিছু চুরির ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে অধিকাংশ সিসিটিভি ক্যামেরা অকেজো হয়ে গেছে।’

পৌর শহরের বাসিন্দা ছাত্রদল নেতা শামীম হোসেন বলেন, ‘পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় যেসব সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, সেগুলো যদি অকেজো হয়ে থাকে, তা দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কারণ বর্তমানে সময়ে পৌর শহর থেকে শুরু করে উপজেলাব্যাপী বেশকিছু এলাকায় চুরি-ছিনতাই বেড়েছে।’ 

পাঁচবিবি বণিক সমিতির সভাপতি তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘এই শহরে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ২ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আগে আমরা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য করতাম। কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো গায়েব হওয়ার কারণে এখন অনেকটা আতঙ্কে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হয়। আমরা চাই, দ্রুত ক্যামেরাগুলো পুনঃস্থাপন করা হোক।’

এর আগে ২০২৩ সালে পাঁচবিবি পৌর প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে স্থাপন করা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো থানা এবং পৌরসভার কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হলেও এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না। 

বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকটি ইলেকট্রিক পোলে ক্যামেরা থাকলেও বেশিরভাগ সেটআপ বক্স আর তার ঝুলতে দেখা যায়। তবে পৌর এলাকা এবং উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আগের মতো আবারও ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলে জানান পৌর প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

পাঁচবিবি পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মারুফ আহসান বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই পৌর প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর পয়েন্ট নির্ধারণের কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছি। আশা করছি, খুব শীঘ্রই পৌরবাসীর ভোগান্তি এড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো পুনঃস্থাপন করা হবে।’

পাঁচবিবি থানার ওসি মইনুল ইসলাম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সিসিটিভি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ লক্ষ্যেই পৌরসভা ও থানার উদ্যোগে ক্যামেরাগুলো সেটআপ করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ৫ আগস্টের দিন অধিকাংশ ক্যামেরা ভাঙচুর ও খুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে আমরা চিন্তাভাবনা করছি, আবারও সেগুলো লাগাব।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!