বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


এসএম হাসানুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কলাম লেখক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০১:১৯ এএম

অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন: গণতন্ত্রের পরীক্ষণক্ষেত্র ও জাতীয় দায়িত্ব

এসএম হাসানুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কলাম লেখক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫, ০১:১৯ এএম

অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন: গণতন্ত্রের পরীক্ষণক্ষেত্র ও জাতীয় দায়িত্ব

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন শুধু একটি আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়; এটি একটি জাতির গণতান্ত্রিক সক্ষমতা ও রাজনৈতিক পরিণতিতে পরীক্ষণক্ষেত্র। প্রতিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, দেশের নাগরিকরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। কিন্তু বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনÑ দশম, একাদশ ও দ্বাদশ, প্রমাণ করেছে যে, নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা ও গ্রহণযোগ্যতার মধ্যে এক গভীর ফারাক রয়েছে। এই ফারাকের মূল্য বাংলাদেশি ভোটাররা সাম্প্রতিক অতীতে সবচেয়ে বড়ভাবে অনুভব করেছেন। ভোটারদের ভোটাধিকার সীমিত হওয়া, নির্বাচনের স্বচ্ছতাহীনতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টাকার প্রভাবের প্রবলতা এমন একটি বাস্তবতা তৈরি করেছে, যা জাতির গণতান্ত্রিক বিশ্বাসকে দুর্বল করেছে।

আজকের প্রজন্মের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা ১৮ বছর বয়সের পর ভোটাধিকার অর্জন করেছেন, কিন্তু তাদের প্রথম সুযোগটি হারিয়েছেন। এটি কেবল ব্যক্তিগত হতাশা নয়; এটি একটি জাতীয় সংকটের প্রতিচ্ছবি। যখন রাষ্ট্রের নাগরিক তাদের মৌলিক ভোটাধিকারের বাস্তবায়নে বাধাগ্রস্ত হন, তখন গণতন্ত্রের ধারণা শুধু শূন্য শব্দের পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকে। এটি স্পষ্ট করে দেয় যে, একটি নির্বাচনের প্রকৃত গ্রহণযোগ্যতা ভোটারদের অংশগ্রহণের সুযোগের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত।

ভোটার তালিকা, নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার অন্যতম মূল ভিত্তি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও সঠিক ভোটার তালিকা থাকা অপরিহার্য। কিন্তু বাস্তবে প্রতিবার নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়। বাড়ি বাড়ি যাচাই করা হয় না, অনেক সময় শুধুমাত্র কাগজে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ফলে যোগ্য ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ে, আবার অনৈতিকভাবে অনেকে তালিকায় রয়ে যায়। এই ত্রুটি নির্বাচনকে একেবারেই সুষ্ঠু হতে দেয় না। ভোটারদের সচেতনতা ও সময়ের সীমাবদ্ধতা এই সমস্যা আরও জটিল করে তোলে। এ কারণে একটি কার্যকরী সমাধান হলো সরেজমিন যাচাই-পরিদর্শনের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, এবং যেখানে সম্ভব, ডিজিটাল ও সহজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটাররা নিজেদের তথ্য যাচাই করতে পারবে। এটি নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং গ্রহণযোগ্যতার জন্য অপরিহার্য।

অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্বাচন পরিচালনার কাঠামো। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্বে নির্বাচিত সংসদ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল। কিন্তু ২০১১ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর নির্বাচন পরিচালনার নিরপেক্ষ কাঠামো হারিয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মকা-ে যুক্ত আছে বলে রাজনৈতিক কিছু নেতার অভিযোগ করছেন, তাই নির্বাচন পরিচালনার গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। এর সমাধান হিসেবে প্রস্তাব করা যেতে পারে অন্তর্বর্তী সরকারের পুনর্গঠন, যেখানে জাতীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। সুপ্রিম কোর্টের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে এই সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামোতে রূপান্তর করা যেতে পারে। এতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

নির্বাচনের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো টাকার প্রভাব। বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচন এবং প্রচারণা প্রক্রিয়ায় টাকার আধিপত্য ক্রমশ প্রকট রূপ নিয়েছে। ব্যবসায়ী ও অর্থনৈতিক শক্তিশালী ব্যক্তি দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয় করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করা ত্যাগী নেতাকর্মীরা পিছিয়ে পড়েন। এর ফলে রাজনীতিতে জনসাধারণের প্রতিনিধি ভূমিকা ক্রমশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নির্বাচনের স্বচ্ছতা এবং দলের অভ্যন্তরীণ ন্যায়বিচার রক্ষার জন্য প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি ত্যাগী নেতাকর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া সরকারি খরচে নির্বাচনি প্রচারণার ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যেখানে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রীয় মঞ্চ স্থাপন করে সকল প্রার্থী সমান সুযোগে জনতার সামনে তাদের প্রোগ্রাম ও নীতি উপস্থাপন করবেন। এই পদ্ধতি টাকার প্রভাব কমাতে সাহায্য করবে এবং ভোটারদের সঠিক তথ্যপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।

ভোটারদের দায়িত্ব ও সচেতনতা জাতীয় নির্বাচনের সাফল্যের অন্যতম ভিত্তি। ভোটাররা কেবল দল বা পরিচিত মার্কা দেখে ভোট দেবেন না; তারা প্রার্থীর চরিত্র, নৈতিকতা, যোগ্যতা এবং দেশের জন্য সম্ভাব্য অবদান বিবেচনা করবেন। একটি অভিজ্ঞ ভোটার যদি সঠিক প্রার্থীকে নির্বাচিত করেন, তাহলে সেই প্রার্থীর কার্যক্রমের সাফল্য শুধু তার নয়, বরং নির্বাচিত প্রার্থীকে সমর্থন করা ভোটারদেরও। অপরদিকে, যদি অসৎ, দুর্নীতিবাজ বা অযোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠানো হয়, তাহলে সেই প্রার্থীর ভুল বা দুর্নীতি থেকে জনগণও সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং ভোটারদের জ্ঞান ও বিচক্ষণতা নির্বাচন প্রক্রিয়ার এক অনিবার্য অংশ।

নির্বাচনের আরেকটি বিশ্লেষণযোগ্য দিক হলো একাধিক আসনে প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বর্তমানে একজন প্রার্থী তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। যদিও এভাবে জয়লাভ করা সম্ভব, পরবর্তীতে দুটি আসন ছেড়ে দিতে হয়, যেখানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এটি রাষ্ট্রীয় অর্থ, সময় এবং প্রশাসনিক সম্পদ অপচয়ের কারণ। এক প্রার্থী কেবল একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে এই অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, নির্বাচনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, বিতর্কিত কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নির্বাচনি পরিবেশ নিশ্চিত করা অপরিহার্য।

অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আরও একটি সুস্পষ্ট প্রস্তাব হলো অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে শুধু পেনশন বেনিফিট রাষ্ট্রকে সমর্পণ করার পরে। এছাড়া নির্বাচনের আগে নির্বাচনি প্রচারণা, পোস্টার এবং জনসমক্ষে বক্তব্যের ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা যেতে পারে।

জাতির জন্য নির্বাচনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এটি কেবল ক্ষমতা হস্তান্তরের অনুষ্ঠান নয়; এটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, গণতন্ত্রের শক্তি এবং সামাজিক ন্যায়ের পরীক্ষণ। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুনর্গঠন, টাকার প্রভাব হ্রাস, প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার ন্যায্যতা এবং ভোটার সচেতনতাÑসবকিছুর সুষ্ঠু সমন্বয় প্রয়োজন। নির্বাচনের দিন একমাত্র নাগরিকরা রাষ্ট্রক্ষমতায় অংশগ্রহণ করে ক্ষমতাকে কার্যকর করে। তাই ভোটারদের দায়িত্ববোধ, বিচক্ষণতা এবং নৈতিক মূল্যবোধ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণে অপরিহার্য।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভবিষ্যৎ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল বা প্রশাসনের সক্ষমতার উপর নির্ভর করে না; এটি পুরো জাতির দায়িত্ব। যদি আমরা সত্যিকার অর্থে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই, তবে আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, বিতর্কিত কর্মকর্তা নির্বাচন পরিচালনায় না রাখা, টাকার প্রভাব সীমিত করা এবং ভোটারদের ভোটের গুরুত্ব উপলব্ধি করানোÑ এই সমস্ত কার্যক্রম একত্রে একটি জাতীয় অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করবে।

গণতন্ত্র শুধুমাত্র একটি ভোটের দিনেই সক্রিয় হয় না; এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। জনগণকে সচেতন, নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, এবং প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখতে হবে। যদি এই মৌলিক শর্তগুলো পূরণ করা সম্ভব হয়, তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুধু একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়, এটি হবে জাতীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ এবং গণতন্ত্রের জ্বালানির উৎস।

নির্বাচন মানে কেবল ভোট দেওয়া নয়; এটি দায়িত্ব নেওয়া, বিচার করা এবং দেশের ভবিষ্যৎ সংরক্ষণ করা। জনগণ যখন সচেতন ভোটার হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবে, তখন সঠিক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা অর্পণ হবে। নির্বাচনে যদি জনগণ লোভ, ভয়, পক্ষপাত বা অযথাযথ প্রভাবের কারণে ভুল ভোট দেন, তাহলে জাতিকে তার ফল ভোগ করতে হবে। সুতরাং এই নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর নয়; এটি পুরো জাতির। এটি হবে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।

জাতীয় নির্বাচনের দিন জনগণ রাষ্ট্রের মালিক হিসেবে কার্যকর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। তবে এই ক্ষমতা ব্যবহারের যোগ্যতা, সচেতনতা এবং দায়িত্ববোধ না থাকলে তা প্রভাবহীন থাকে। সুতরাং নির্বাচনের সফলতা নির্ভর করছে ভোটারদের নৈতিক দায়িত্ব, রাজনৈতিক দলগুলোর স্বচ্ছতা, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ভোটার তালিকার সঠিকতাÑ এই চতুর্ভুজের কার্যকর সমন্বয়ের ওপর। এটি না হলে নির্বাচন কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা হয়ে থাকবে, গ্রহণযোগ্যতাহীন, বিতর্কিত এবং জাতির জন্য ক্ষতিকর।

আজ আমাদের সামনে একটি ইতিহাস গঠনের সুযোগ রয়েছে। আমরা চাইলে নির্বাচনকে শুধু একটি দফা ভোটের অনুষ্ঠান হিসেবে সীমাবদ্ধ না রেখে, গণতন্ত্রের শক্তি এবং জাতীয় দায়িত্বের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। এই লক্ষ্য অর্জন করার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, ভোটার সচেতনতা এবং টাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচনি পরিবেশ। একমাত্র এভাবে আমরা নিশ্চিত হতে পারব যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য, যা দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন নিশ্চিত করবে।

গণতন্ত্রের যাত্রা শুধুমাত্র আইনের শর্ত পূরণের মাধ্যমে নয়; এটি হলো জনগণের সচেতন অংশগ্রহণ, নৈতিক দায়িত্ববোধ এবং স্বচ্ছ রাজনৈতিক সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র। তাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের প্রতিটি নাগরিককে দায়িত্বশীলভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। তারা যদি সঠিক ভোটার হিসেবে আচরণ করে, লোভ, ভয় ও অযথা প্রভাবকে অগ্রাহ্য করে ভোট দেন, তবে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক, স্বচ্ছ এবং শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত হবে।

নির্বাচন মানে শুধু পলিটিক্যাল ইভেন্ট নয়; এটি হলো জাতির রাজনৈতিক পরিণতিত্বের আসল মানদ-। বরং আশা করি  নির্বাচনের গুরুত্ব ও দায়বদ্ধতার দিকে গভীর মনোযোগ দেবে সকল ভোটার। আমরা যদি এই বার্তা মেনে চলি, তবে দেশের জাতীয় নির্বাচন হবে গণতন্ত্রের সর্বোচ্চ অর্জন।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!