বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম

প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে অনিয়ম

বিদ্যালয়ে না গিয়েও ‘হাজিরা’ দেন শিক্ষক

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম

হাজী তফেলা বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইনসেটে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

হাজী তফেলা বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইনসেটে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে অবস্থিত হাজী তফেলা বেগম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাঞ্চল্যকর এক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত না থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এসব অনিয়মে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সফি আলমের সরাসরি যোগসাজশ রয়েছে বলেও দাবি করছেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয়ে না এলেও হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর পাওয়া যায়, যা শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি চরম অবহেলার বহিঃপ্রকাশ।

এলাকার অভিভাবক ও বাসিন্দারা এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত বিভাগীয় তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন, মো. হানিফ, মাহফুজসহ একাধিক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘মামুন স্যার সপ্তাহে একদিন স্কুলে আসেন, শুধু হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান। আজ  মঙ্গলবার (২২ জুলাই) তিনি বিদ্যালয়ে না এসেই মৌখিক ছুটি নিয়েছেন, যা সরকারি বিধিমালার পরিপন্থি।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, ‘শুধু সহকারী শিক্ষকই নন, প্রধান শিক্ষকও এই অনিয়মে জড়িত। তারা দুজনে মিলে বিদ্যালয়ে না এসেও হাজিরা দেখাচ্ছেন। এরকম চলতে থাকলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আজ জরুরি ব্যক্তিগত কাজ ছিল, তাই বিদ্যালয়ে যেতে পারিনি। প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে মৌখিকভাবে ছুটি নিয়েছি। আমি নিয়মিত স্কুলে যাই।’

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সফি আলম বলেন, ‘মামুন স্যার সাধারণত নিয়মিত আসেন। আজ একটি বিশেষ কাজে মৌখিক ছুটি নিয়েছেন।’

তবে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. বেলায়াত হোসেন বলেন, ‘স্কুলে না গিয়ে মৌখিক ছুটি নেওয়ার কোনো বিধান নেই। যদি বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে তাহলে লিখিত ছাড়া ছুটি দেওয়া যাবে না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখব।’

Shera Lather
Link copied!